ধামরাই প্রতিনিধি।
ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কৃষি জমির মাটি বিক্রি ও সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে,এবিষয়ে কুল্লা ইউনিয়নের এলাবাসী ইউএনও রবাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা যায়।
সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাত ও সরকারি কৃষি জমির মাটি চুরি করে বিক্রি করায় ২ং ওয়ার্ড মেম্বার শহিদুল ইসলাম মেম্বারের শাস্তি দাবি ও অব্যহতি চায় এলাকাবাসী।
জানা যায় ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নির্দেশ অমান্য করে ২নং ওয়াড মেম্বার শহিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন পরিষদের কৃষি জমির মাটি রাতের আধারে চুরি করে তা বিক্রি করেছে,এছাড়াও
দিঘির মাটি শুধু নতুন ইউনিয়ন পরিষদের জমিতে ভরাট করবে, আর খেলার মাঠ ভরাট করবে, কিন্তু শহিদুল ইসলাম মেম্বার তা না শুনে রাতের আধারে মাটি চুরি করে বিক্রি করেছেন।কেউ বাধা দিলে, তাকে নানান রকম ভয় ভীতি দেখানো হয়।কিছু বিএনপির নেতাদের বাড়ি সামনে রাস্তা ভরাট ও করতে দেখা গেলে ও বিএনপি নেতাদের গরু লালন-পালনের জন্য খরকুট রাখার স্থান পুকুরের উপরে করা হয়েছে। কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ হইতে ০১% জমি রেস্টিকৃত আয় হতে কুল্লা ভারত বাড়ির হতে রফিকের মেল পর্যন্ত রাস্তা ইটের সলিং এর রিফারিং জন্য চেয়ারম্যান মহোদয় বরাদ্দ দেয় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। যে কাজে নতুন ইটের দ্বারা নির্মান কথা থাকলেও সে পুরাতন ইট দিয়ে কিছু কাজ করে, এবং তা সম্পূর্ন কাজ না করেই টাকা সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন করে আত্মসাত করে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান এর দেওয়া ইট সে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে এবং রাস্তার পাশে বসবাসরত মালিকানা জমির মালিকদের গাছ কেটে ফেলা সহ ও নানান রকম ভয় ভীতি দেখান এবং রাস্তার পর্যাপ্ত দুই পাশে জায়গা থাকার পর ও তিনি গরিব মানুষের বসবাসরত ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করেন।
এমতাবস্থায়,তার একক নৈরাজ্য ও বিএনপির এজেন্ডা ও পেশি শক্তি খাটানোর মনোভাব লক্ষ্য করা যায় এবং সরকারি সম্পদ ও অর্থ নষ্ট করার কারনে কুল্লা ২নং ওয়ার্ডবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে।
এই বিষয়ে ২নং ওয়ার্ড মেম্বার শহিদুল ইসলাম জানান, কুল্লা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের লোকজন আমাকে ভালোবেসে বার বার মেম্বার নির্বাচিত করেছে। আমি কোন খারাপ কাজ করিনি। আমার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তা সম্পন্নভাবে মিথ্যাবানোয়াট।
আমার মানসম্মান হানি করার লক্ষ্যে কিছু কুচক্র মহল উঠে পরে লেগেছে আমার পিছনে। ইউনিয়নে জায়গায় মাটি নতুন ইউনিয়নের জায়গায় ভরাটের পাশাপাশি কিছু মাটি মসজিদ,মাদরাসা, কবরস্থানের কাজে ফালানো হয়ে। আমার কাছে মাটি সমস্ত হিসাব রয়েছে। আমি কোনও খারাপ বা দুর্নীতি চুরি করিনি।আমি যা করেছি নিজের স্বার্থে নয় ২ নং ওয়ার্ডের জনগণের স্বার্থেই করেছি।
কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন,আমি হজ্বে যাওয়ার আগে শহিদুল মেম্বারকে বলা হয়েছে, যেখানে নতুন ইউনিয়ন পরিষদ হবে সেই খানে ভরাটের জন্য। কিন্তু শহিদুল মেম্বার সেই জায়গা ভরাটের পাশাপাশি রাতের আধারে বাহিরে মাটি বিক্রি করে এই মাটি সরকারি তাই সে এ মাটি অন্য জায়গায় বিক্রি করতে পারে না।
অপর দিকে ভারত ফকিরের বাড়ির সামনে দিয়ে যে রাস্তা রিফারিং এর জন্য সাড়ে চার লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেই রাস্তার কাজ শেষ না করে শহিদুল মেম্বার অন্য জায়গায় নতুন ইট বিক্রি করেছে। আমার কাছে তার প্রমান আছে বলে জানান তিনি।
কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়াড এলাকাবাসী শহিদুল ইসলাম মেম্বারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছে। এর আগেও শতাধিক লোক ইউএনও এর কাছে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ দেয়।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি বলেন,এ বিষয়ে এলাকার মানুষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে শুনেছি তবে এখনো হাতে পাইনি। অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।