সাভার প্রতিনিধি
সাভার উপজেলার বনগাও ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের গাড়ীতে সন্ত্রাসী। হামলা হয়েছে বলে জানা যায়। এ হামলার সাথে জড়িত থাকা এক বেক্তিকে আটক করেছে সাভার মডেল থানার পুলিশ।এছাড়াও আটক বেক্তির কাছ থেকে হামলায় ব্যাবহৃত লোহার পাইপ উদ্ধার করেছেন,হামলাকারীরা এলাকায় চলাচলরত কয়েকটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা ভাংচুর করেছে, এতে আহত হয়েছে মহিলা পুরুষ সহ অন্তত ১০ জন।তাদের কে উদ্ধার করে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
সোমবার (১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং) দুপুরে সাভারের বনগাও এলাকায় আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত স্থানীয় নেতা আওলাদ হোসেনের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,দুপুরে বনগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পরিষদে যাওয়ার পথে উতপেতে থাকা আওলাদ হোসেনের লোকজন দলবদ্ধ হয়ে তার গাড়িতে লোহার পাইপসহ দেশিয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেন।হামলা চলাকালীন অবস্থায় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা চালায় আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী,এ সময় তারা বেশ কয়েকটি অটোরিক্সা ভাংচুর করে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে পুলিশ।
বনগাও ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগর সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে বহিস্কৃত আওলাদ হোসেন এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও হত্যা মামলার আসামী আল আমিনকে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন এলাকায়।এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে সরাসরি সক্রিয় রয়েছেন ০৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার মনির হোসেন।বিভিন্ন সময় তাদের এইসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তারা দলবদ্ধ হয়ে আজকে আমার উপর আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্য নিয়ে এ হামলা চালায়।এ ঘটনায় তিনি প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠর ব্যাবস্থার দাবী জানিয়েছেন।বনগাও ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আরিফ আহমেদ গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন,দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অনেক আগেই আওলাদ হোসেন কে বহিস্কার করা হয়।বিভিন্ন সময় তার অপকর্ম নিয়ে প্রতিবাদ করায় এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটায়।আওলাদ এলাকায় মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে জমি দখলের সাথে সরাসরি জরিত,তার এই অবৈধ কর্মকান্ড বিরুদ্ধে এলাকাবাসী প্রসাশন কে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।এছাড়াও হামলায় ভাংচুরকৃত ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালক মো: পারভেজ বলেন,আমি গরিব মানুষ অটোরিক্সা চালিয়ে সংসার চালাই,আমিতো কারো পক্ষের লোক না তাহলে কোন অপরাধে আমার ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা ভাংচুর করে আমাকে আহত করা হয়েছে।সে আরো জানায়,আওলাদ হোসেনের লোকজন আমার অটোরিক্সা ভাংচুর করেছে আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।

বনগাও ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নিজাম উদ্দিন জানান,আমি বলিয়ারপুর যাওয়ার সময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কাছে পৌছালে আওলাদ হোসেনের সহযোগী হাছান আমার গতিরোধ করে ফিরিয়ে দেয় এবং পিয়াস আমাকে গালিগালাজ করে।এ ব্যাপারে বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেনের কাছে প্রশ্ন করলে তিনি গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন,চেয়ারম্যানের লোকজন হাঙ্গাল এলাকায় আমার সহযোগী রমজান আলীর উপর অর্তকিত হামলা চালায়,এছাড়া আমার সহযোগী রমজান সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।তবে আমরা কারো উপরেই হামলা করিনি।ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাভার মডেল উপ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান হামলার ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন,কিছু লোহার পাইপসহ জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এক যুবককে আটক করা হয়েছে।ঘটনাটি যথাযথ তদস্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।