নিজস্ব প্রতিবেদক।
চট্রগ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলার ভূমিহীনদের নামে সরকারি বরাদ্দ হওয়া ঋণের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এর দায়ের করা মামলায় এক এনজিও মালিককে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্রগ্রাম আদালত।গত বৃহস্পতিবার (২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে মুন্সি আবদুল মজিদ এ রায় ঘোষণা করেন।সাজাপ্রাপ্ত আসামি,টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার আকুরটাকুর পাড়ার শিমুলতলী রোডের মৃত সৈয়দ এম এন হুদার ছেলে হাসানুজ্জামান লোটন।তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডের ‘রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ফর ল্যান্ডলেস’ নামে একটি এনজিও সংস্থার মহাসচিব হিসেবে দ্বায়িত্বরত ছিলেন।এরায়ের বিষয়টি গণমাধ্যম কে নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মূসা।তিনি আরও বলেন,সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই ধারায় দুই বছর করে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।এছাড়াও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা সহ অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে সাজাপ্রাপ্ত একসঙ্গে চলবে,সেই হিসেবে দুই বছর কারাভোগ করতে হবে।তিনি আরও বলেন,সাজাপ্রাপ্ত আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছে।তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়,সদস্যদের মাথাপিছু সাড়ে তিন হাজার টাকা ঋণ বিতরণের জন্য ১৯৯৪ইং সালে চট্টগ্রাম জেলার ১২টি আদর্শ গ্রামের জন্য ওই এনজিওটিকে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।এনিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মহাসচিব সৈয়দ হাসানুজ্জামান লোটন চুক্তি করেন। ঋণ বিতরণ করলেও টাকার মেয়াদান্তে ৩ শতাংশ সার্ভিস চার্জসহ সরকারকে ফেরত দেওয়ার কথা ছিল।এছাড়া এর মধ্যে ফটিকছড়ি উপজেলার আজিমপুর আদর্শ গ্রামের জন্য প্রায় ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল।চুক্তি মোতাবেক এসব টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেন তিনি। এ ঘটনায় ২০০৩ইং সালে ফটিকছড়ি থানায় মামলা করে তৎকালীন দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যুরো(দুদক)।