নিজস্ব প্রতিবেদক।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় হরতালের মধ্য দিয়ে কঠর হুশিয়ারি দিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গোটা বিশ্ব অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় এই কর্মসুচির মাধ্যমে।এছাড়াও আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি,যা শেখ হাসিনা বুঝতে পারছেন না।এখন কঠর ও শক্তিশালী কর্মসূচি দিতে হবে, আর তা হচ্ছে হরতাল।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের মতো লগি, বৈঠা দিয়ে মানুষ মারিনি, লাশের ওপর নৃত্য করিনি।আমরা ১৯৭১ইং সালে শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র,ন্যায়বিচার,সাম্য ও সামাজিক নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। এখন গণতন্ত্রের জন্য, বাকস্বাধীনতার জন্য এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে এবং তা চলমান থাকবে।গত বৃহস্পতিবার (২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং) সন্ধ্যায় একদফা দাবিতে ভৈরব থেকে রোডমার্চ পরবর্তী সিলেট নগরের সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ধরনের কথা ব্যাক্ত করেন।বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন,মানুষ শেখ হাসিনাকে আর এক মুহূর্তেও ক্ষমতা দেখতে চায় না।আমরা ক্ষমতায় আসার জন্য আন্দোলন করছি না। আমরা আন্দোলন করছি গণতন্ত্রের জন্য, ভোটাধিকারের জন্য।তাই পরিষ্কার কথা,সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।শেখ হাসিনার অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না,দেশের জনগণ হতে দেবে না।অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে এবং সরকার পতনের একদফা দাবিতে এ রোডমার্চ সম্পন করা হয়।তিনি আরো বলেন,খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ,দেশনায়ক তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারছেন না। দেশে গণতন্ত্র নেই,মানুষ ভোট দিতে পারে না,দিনের ভোট রাতে হয়ে যায়,দেশের টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি মোঃ নাসিম হোসাইন।সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, একদফা এক দাবিতে এই রোডমার্চ, তা হলো ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ। এই সংসদ ভেঙে দিতে হবে,নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিতে হবে,খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে,এই দাবিতে মানুষ জীবন বাজি রেখে রাস্তায় নেমেছে।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা.এ জেড এম জাহিদ হোসেন,বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির,আরিফুল হক চৌধুরী ও ড.এনামুল হক চৌধুরী,বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল ও খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হাসান জীবন ও এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, সহ ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মিজানুর রহমান চৌধুরী ও হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী।রোডমার্চকে বরণ করতে বিকেল ৩টা থেকে নেতাকর্মীরা আলিয়ার মাঠে জড়ো হতে থাকলেও বাগড়া বসায় বৃষ্টি। বিকেল ৪ঘটিকায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মধ্যেই চলে সমাবেশ।
দীর্ঘ অপেক্ষমাণ সময়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে মঞ্চ থেকে বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন জাসাসর শিল্পীরা।সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি এস এম জিলানী,যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।এছাড়া সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারাও সমাবেশে বক্তব্য দেন।