দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার নেত্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।জাতির পিতার মতো হিমালয়সম আত্মবিশ্বাসে শত প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন দ্বারায় মহাসড়ক ধরে যিনি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি আর কেওই নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা জনকল্যাণমুখী কাজের মাধ্যমে গণমানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন,এছাড়াও তিনি জনগণের মনজয়ের নেত্রী,আমাদের আস্থার ঠিকানা, উন্নয়নের বাতিঘর বলে মন্তব্য প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন মানুষ বিশ্বাস করে তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন দেশের উন্নয়ন ক্ষেত্রে জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবেন।তার কথা ও কাজে মিল পেয়েছেন দেশের জনগণ।
বাবার মতো এদেশের মানুষের কল্যাণে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।সুনেতৃত্বে বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নত দেশের কাতারে।আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায়। মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় কেটেছে শৈশব-কৈশোর।চুয়ান্নর নির্বাচনের পর বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা।দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করে তুলেন এবং ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো সরকার গঠনের পর।২০০৮ সালে দ্বিতীয়,২০১৪ সালে তৃতীয় ও ২০১৮ সালে চতুর্থবারের মতো নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বলে জানান তিনি।স্থায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি,খাদ্যে স্বনির্ভরতা,নারীর ক্ষমতায়ন,কৃষি, শিক্ষা,স্বাস্থ্য,গ্রামীণ অবকাঠামো, যোগাযোগ,জ্বালানি ও বিদ্যুৎ,ব্যাবসা-বাণিজ্য,আইসিটি এবং এসএমই খাতে এসেছে ব্যাপক ভাবে সাফল্যতার অর্জন লাভ করেন।এছাড়াও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সহ জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ,বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার,পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতিসহ জাতীয় জীবনের বহুক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি।দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদি সাহেরা খাতুনের অতি আদরের নাতনি ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা।বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে মধুমতি নদীর তীরবর্তী গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায়।শেখ কামাল,শেখ জামাল,শেখ রেহানা ও শেখ রাসেলসহ পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে শেখ হাসিনা ও রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে পিতা বঙ্গবন্ধু ও মাতা ফজিলাতুন্নেছাসহ সবাই ঘাতকদের নির্মম বুলেটে নিহত হন।শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়।১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে চলে আসেন।তখন পুরান ঢাকার রজনি বোস লেনে ভাড়া বাসায় ওঠেন তারা।বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য হলে সপরিবারে ৩ নম্বর মিন্টু রোডের বাসায় তারা বসবাস শুরু করেন।শেখ হাসিনাকে ঢাকা শহরে টিকাটুলির নারী শিক্ষা মন্দিরে ভর্তি করা হয়।এখন এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শেরেবাংলা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে খ্যাত।এখানে শুরু হয় তার শহর বাসের পালা।তিনি ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক,১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ যা বর্তমান নামকরণ হয়েছে বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন।ওই বছরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।শেখ হাসিনা ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজে পড়ার সময় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন এবং ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু উত্থাপিত ৬ দফা দাবিতে পূর্ববাংলায় এক অভূতপূর্ব জাতীয় জাগরণ সৃষ্টি হয়।শাসকগোষ্ঠী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।শুরু হয় প্রচণ্ড দমন-নির্যাতন। আটক থাকা অবস্থাতেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি শাসকবাহিনী গোষ্ঠী আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে।তার জীবন ও পরিবারের ওপর নেমে আসে গভীর বিপদাশংকা ও দুঃসহ দুঃখ-যন্ত্রণা। এ ঝড়ো দিনগুলোতেই বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে ১৯৬৮ইং সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ডঃ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শেখ হাসিনার।১৯৭১ইং সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে যাওয়ার পর গোটা পরিবারকে ঢাকায় ভিন্ন এক বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। অবরুদ্ধ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ইং সালের ২৭শে জুলাই শেখ হাসিনা গৃহবন্দি অবস্থায় তার প্রথম সন্তান ‘জয়’ দুনিয়াতে ভূমিষ্ট হয়।১৯৭২ইং সালের ৯ই ডিসেম্বর কন্যা সন্তান পুতুলের জন্ম হয়।১৯৭৫ইং সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হবার আগে ছোটবোন শেখ রেহানাসহ শেখ হাসিনা ইউরোপ যান।সেখানে অবস্থানকালে তিনি সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নিহত হওয়ার খবর পান। তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরার কোনো পরিবেশ না থাকায় তিনি ইউরোপ ছেড়ে স্বামী-সন্তানসহ বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।শেখ হাসিনার পরবর্তী ইতিহাস একবিংশ শতকের অভিযাত্রায় তিনি কীভাবে বাঙালি জাতির কাণ্ডারি হয়েছেন তার ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন রূপায়নের দায়িত্ব নিয়ে বাঙালি জাতির আলোর দিশারী হওয়ার ইতিহাস।১৯৮১ইং সালের ১৩ থেকে ১৫ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। আর ওই বছরেরই ১৭ই মে দীর্ঘ টানা ৬ বছর প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাবার স্বপ্ন পূরণে মাতৃভূমি বাংলাদেশে পা রাখেন তিনি।১৯৮৬ইং সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি তিনটি আসন থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৯০ইং সালের ঐতিহাসিক গণ-আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন শেখ হাসিনা। ১৯৯১ইং সালের সংসদ নির্বাচনের পরে তিনি পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন।১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে সরকার গঠন করে এবং সে বছরের ২৩ জুন দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।এরপর ২০০১ইং সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধীদলের নেতা নির্বাচিত হন। ২০০৪ইং সালের ২১শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও ওই হামলায় ২৪ জন নিহত ও পাঁচশ নেতাকর্মী আহত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন নিয়ে বিশাল বিজয় অর্জন করে। এ বিজয়ের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।পরে ২০১৪ইং সালের ৫ই জানুয়ারি তৃতীয়বার ও ২০১৮ইং সালের ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আজ ২৮শে ২০২৩ইং সেপ্টেম্বর এ মহান নেত্রীর জন্মদিন।শুভ জন্মদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,আপনি শতায়ু হোন। দেশের জন্য আপনাকে প্রয়োজন। ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে আমরা হারিয়েছি।সেই হারানোর অপূর্ণতা এ দেশ এ জাতি কখনো পূরণ করতে পারবে না।কিন্তু তার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে ১৭ কোটি বাঙালির অভিভাবক হিসেবে আপনাকে হারাতে চাই না।দেশ আজ আপনার হাত ধরে বিশ্ব-দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।আপনি বাংলাদেশকে সেই সক্ষমতার জায়গায় নিয়ে গেছেন।বিশ্ব ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে পদ্মা সেতু নির্মাণে যে অসীম সাহসিকতা দেখিয়েছেন তাতে বিশ্বনেতারা আজ হতবাক। আজ সেই স্বপ্নের সেতু দৃশ্যমান। অর্থায়নে পিছুপা হওয়া সেই বিশ্বব্যাংক আজ স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে পদ্মা সেতুতে ঋণ না দেওয়া তাদের ভুল ছিল।দেশের মানুষ যা স্বপ্নেও ভাবেনি- নদীর নিচে টানেল হবে এ বাংলাদেশে। অথচ আপনার হাত ধরে তা আজ বাস্তবায়নের পথে।শিক্ষা ও চিকিৎসায় দেশ এগিয়েছে অনেক দূর।বিনামূল্যে শিক্ষা তথা অবৈতনিক শিক্ষা আজ বুলি নয়, বাস্তবতা।নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে দারিয়ে আছে।কমেছে মাতৃমৃত্যুর হার।বেড়েছে মানুষের গড় আয়ু।১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে কৃষকের জন্য খুলে দিয়েছেন এক নতুন জগৎ। মোবাইল ফোনকে এত সহজলভ্য করেছেন যে,ফসলের মাঠ থেকেই কৃষক জানতে পারে ফসলের মূল্য। ফড়িয়াদের দৌরাত্ম্য থেকে কৃষক আজ মুক্ত।ডিজিটাল টাকা যা ছিল শুধু উচ্চবিত্তদের এটিএম কার্ডে, আজ তা মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে গেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কল্যাণ সেবা।উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে মহাকাশেও চলছে দেশের জয়যাত্রা আপনারই হাত ধরে।আমাদের গর্ব আমাদের অহংকার ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ এর সাহায্য নিচ্ছে অন্যান্য অনেক দেশ।শুধু কী তাই! বিশাল সমুদ্রের নিরাপত্তায় মাথা উঁচু করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জলযান সাবমেরিন।আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রশিক্ষিত ও সুশৃঙ্খল সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বহির্বিশ্বে একটি সমীহ জাগানিয়া নাম। আপনার আমলে বিদুৎ সেক্টরে আজ আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। অদূর ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ সমস্যার স্থায়ী সমাধানকল্পে চলছে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ। গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ অচিরেই বাস্তবায়ন হবে। দেশব্যাপী উন্নয়নের এ মহাযাত্রা দেখে বহির্বিশ্বের অনেক নেতাই আজ বলতে শুরু করেছে ‘উন্নয়ন দেখতে হলে বাংলাদেশে যাও’। আপনার কর্মকাণ্ড একের পর এক পাচ্ছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। সেই হেনরি কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে বাংলাদেশ আজ ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার আশ্রয়দাতা। শুধু তাই নয়, তাদের অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসারও জোগানদাতা এ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মুদ্রামান আজ ভারতীয় মুদ্রাকে ছুঁই ছুঁই করছে। তবে উন্নয়নের এ মহাসড়কের যাত্রাটা সব সময় কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। এসেছে অনেক বাধা, অনেক বিপত্তি। এসব বাধ-বিপত্তিকে আপনি গুড়িয়ে দিয়েছেন, গুড়িয়ে দিচ্ছেন অদম্য সাহসিকতায়। পাশ্চাত্যের ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করার। আপনি সেই ষড়যন্ত্রের মুখে কুঠারাঘাত করেছেন। জঙ্গির বংশকে করেছেন সমূলে নির্মূল।দুঃসাহসিক সিদ্বান্ত যা একমাত্র মমতাময়ী কিন্তু নীতির প্রশ্নে আপসহীন শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব। শুদ্ধি অভিযান বিষয়ে আপনার সাহসী সিদ্ধান্ত জনমনে আশার সঞ্চার করেছে। এ সিদ্ধান্তকে জনগণ সাধুবাদ জানাচ্ছে। ২০৪১ সালের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে দেশব্যাপী দুর্নীতির বটবৃক্ষকে নির্মূল করতে হবে। আমরা আশায় বুক বেঁধেছি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ আজ আপনার হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। আর আজকের এ ডিজিটাল বাংলাদেশ আপনার হাত ধরে পরিণত হবে মধ্যম আয়ের দেশে। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে শামিল হবে উন্নত দেশের কাতারে।বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন করা, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি এবং সমুদ্রে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ব্লু ইকোনমির নতুন দিগন্ত উন্মোচন, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ও ছিটমহল বিনিময়, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ জয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ,নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেল নির্মাণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল,এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়াল সেতু, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা,এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন,মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত, দারিদ্র্যের হার হ্রাস,মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭৪ বছর ৪ মাসে উন্নীত, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন, সাক্ষরতার হার ৭৫.৬০ শতাংশে উন্নীত করা,বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া, মাদরাসা শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতি দান,মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন,প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ,নারী নীতি প্রণয়ন,ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ,ফাইভ-জি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চালুসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে কালোত্তীর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।এ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত উল্লেখযোগ্য পদকগুলোর মধ্যে রয়েছে-ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটি অব জাপানের সম্মানসূচক ডক্টরেট অব ল ডিগ্রি,যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব আলবারটে ডান্ডির সম্মানসূচক ডক্টরেট অব ফিলোসফি ইন লিবারেল আর্ট,পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক দেশীকোত্তমা,অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডক্টরেট অব লস,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিজপোর্ট ইউনিভার্সিটির,ডক্টর অফ হিউম্যান লেটারস,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডিগ্রি ডক্টরেট অব ল’স প্রদান,পল হারিস ফেলোশিপ দ্য রোটারি ইন্টারন্যাশনাল,ইউনেস্কোর হাউফুয়ট-বোনি শান্তি পুরস্কার-১৯৯৮,এম কে গান্ধী পুরস্কার-১৯৯৮,মাদার তেরেসা পুরস্কার-১৯৯৮ এবং ২০০৬,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের র্যান্ডলফ ম্যাকন মহিলা কলেজের পার্ল এস বাক পুরস্কার-১৯৯৯,সিইআরইএস পদক-১৯৯৯,এমডিজি অর্জনের জন্য জাতিসংঘ পুরস্কার (শিশু মৃত্যু)-২০১০, ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার-২০০৯,সাউথ-সাউথ পুরস্কার-২০১১,এমডিজি অর্জনের জন্য জাতিসংঘ পদক-২০১৩, পুরস্কার,রোটারি শান্তি পুরস্কার-২০১৩,শান্তি বৃক্ষ-২০১৪ আইসিটি স্থায়ী উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৪,চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ-২০১৫, এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড-২০১৬,এবং প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন পদক-২০১৬সহ একাধিক পদক পেয়েছেন।শিল্প সংস্কৃতি ও সাহিত্য অন্তপ্রাণ শেখ হাসিনা লেখালেখিও করেন।তার লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩০টিরও বেশি। প্রকাশিত অন্যতম বইগুলো হচ্ছে- শেখ মুজিব আমার পিতা,সাদা কালো,ওরা টোকাই কেন,বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম, দারিদ্র্য দূরীকরণ,আমাদের ছোট রাসেল সোনা,আমার স্বপ্ন আমার সংগ্রাম,সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র, আন্তর্জাতিক সর্ম্পক উন্নয়ন, বিপন্ন গণতন্ত্র, সহে না মানবতার অবমাননা,আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি, সবুজ মাঠ পেরিয়ে ইত্যাদি।মো. হীদ উল্লা খন্দকার
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা-২১৭,গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনের উন্নয়ন কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সচিব।