ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান,এমপি
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান এমপি জনকল্যাণে নিবেদিত প্রাণ একজন রাজনীতিবিদ।এনামুর ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরিজীবনে তিনি সাভার ও গোপালগঞ্জ জেলায় দায়িত্ব পালন করেন।১৯৯২ সালে তিনি সাভারে ফিরে আসেন এবং এনাম ক্লিনিক নামে ৬ শয্যা বিশিষ্ট একটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন।২০০৩ সালে এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসে পড়ার পর এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ এনামুর রহমান আহতদের তিন মাস বিভিন্ন পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে দেশব্যাপী আলোচিত হন।
তিনি সুদীর্ঘকাল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নে অনবদ্য ভূমিকা পালন করে আসছেন। ডাঃ এনাম ১৯৫৭ সালে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৮৩ সালে এম.বি.বি.এস ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে বি.সি.এস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে সরকারী চাকুরীতে প্রবেশ করে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত হয়ে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসন হতে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে বিপুল ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। ডাঃ এনাম দেশের বৃহত্তম বেসরকারী এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল,এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তিনি স্পেকট্রাম গার্মেন্টস ও তাজরিন ফ্যাশনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ও রানা প্লাজা ধ্বসে হাজার হাজার আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে চিকিৎসা সেবায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি দুঃস্থ, বেওয়ারিশ ও হত-দরিদ্র রোগীদের জন্য বিশেষ চিকিৎসা সেল ও সমাজ সেবায় নিয়োজিত রেখে আলোরন সৃষ্টি করেন। এ লক্ষ্যে তিনি ‘এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ গঠন করেন। তিনি নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে আহতদের সেবায় বিশেষ মেডিকেল টিম প্রেরণ করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর নেতৃত্ব ও তত্ত্বাবধানে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি চিকিৎসক দল কক্সবাজারে আশ্রিত বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন।তিনি ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় ১৫৬ টি স্যাটেলাইট চিকিৎসা কেন্দ্র পরিচালনায় অনবদ্য ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও ১৯৯৮,২০০৪,২০০৭ এর বন্যায় স্বেচ্ছায় চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেছেন। তিনি ১৯৮৯ সালে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়াতে সংঘটিত হওয়া প্রাণঘাতি টর্নেডোতে আক্রান্তদের উদ্ধার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রমে সরাসরিকোনো অংশগ্রহণ করেন।
ডাঃ এনাম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এবং শিশু অধিকার ও প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে Parliamentary Caucus এর সদস্য হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়া তিনি Bangladesh Association of Parliamentarians on Population and Development (BAPPD) একজন সদস্য। তিনি ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এবং ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটির একজন সদস্য। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর আজীবন সদস্য। তিনি প্রাইভেট হসপিটাল ওনার্স এসোসিয়েশন অব সাভার (ফোয়াস) এর প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন এর মহাসচিব হিসেবে নিয়োজিত আছেন।ডাঃ এনামুর রহমান দেশ ও কৃষ্টি’ বইয়ের প্রকাশনা নিষিদ্ধকরণের ঘোষণা এবং বইটি অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে তৎকালীন গভর্নর নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে সাংগঠনিক ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৬৯-এ ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ১১ দফার ভিত্তিতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের বিরম্নদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেন। ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং নির্বাচন পরবর্তিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে সকল রাজনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকহানাদার, রাজাকার,আলবদর ও সহযোগী বাহিনীদের উর্দূতে লেখা চিঠিপত্র বাংলায় অনুবাদ করেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরকে শত্রুদের পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অনবদ্য অবদান রাখেন।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথে তিনি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তরসমূহকে দুর্নীতিমুক্ত করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জীবনের সকল ক্ষেত্রে শুদ্ধাচার অনুশীলন করার জন্য অনুরোধ করেন।দেশের উন্নয়ন ও জনকল্যাণে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি তাঁর সকল সহকর্মী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট সকল জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক,অন্যান্য অংশীজনদের সহযোগিতা কামনা করেন
ডাঃ এনামুর রহমান,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
পেশায় একজন চিকিৎসক এবং এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (প্রাঃ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহ এনাম এডুকেশন অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিলেজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান।১৯৮২ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান। সে সময় তাঁর কর্মস্থল ছিল সাভার থানা সাস্থ কমপ্লেক্স। পরবর্তীতে তাঁকে গোপালগঞ্জ জেলায় বদলি করা হলে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি।১৯৯২ সালে তিনি সাভারে ফিরে আসেন এবং এনাম ক্লিনিক নামে ৬ শয্যা বিশিষ্ট একটি ছোট ক্লিনিক গড়ে তোলেন। ২০০৩ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়লে আহতদের তিন মাস বিভিন্ন পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আলোচিত হয় এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ও এর প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান।পরবর্তীতে তৎকালীন সাংসদ মুরাদ জংয়ের পরিবর্তে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক তিনি ঢাকা-১৯ আসনের দশম জাতীয় সাংসদ হিসেবে মনোনয়ন পান এবং বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন।এবারেও পুনরায় এমপি হিসেবে দেখতে চায় সাভার আশুলিয়ার জনগণ।