সিলেটে একটি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৯ জনের মধ্যে একে একে নিভে গেল ছয় তাজা প্রাণ।এছাড়াও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন মিনহাজ উদ্দিন আকন্দ (২৫) নামে আরেক যুবক।
বুধবার (২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং )শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ ওই যবকের মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।
সিলেট কোতোয়ালি থানাধীন এলাকার আলাউদ্দিন আকন্দের ছেলে মিনহাজ নগরের পূর্ব মিরাবাজার বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কর্মরত ছিলো বকে যানা যায়।তার স্ত্রী ও দুই বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন,এ নিয়ে অগ্নিদগ্ধ ৯ জনের মধ্যে ছয়জনই মারা গেছেন।বুধবার মারা যাওয়া মিনহাজ উদ্দিনের শরীর আগুনে ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ আশংকাজনক আরও তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।মিনজাহের চাচা মো. জসিম উদ্দিন আকন্দ বলেন, সরকার এত টাকা-পয়সা খরচ করে আগুনে দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য বার্ন হাসপাতাল বানিয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকরা কোনো রোগীকে বাঁচাতে পারছেন না। একের পর এক আমাদের ছয়জন তরতাজা মানুষের প্রাণ গেল।গত ২১ সেপ্টেম্বর রাত দেড়টার দিকে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিলেট নগরের পশ্চিম পীরমহল্লা ঐক্যতান ২১৫/৩ বাসার মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের শিফট ম্যানেজার নজরুল ইসলাম মুহিন (২৫)।
এছাড়া ১৮ সেপ্টেম্বর একই হাসপাতালে দগ্ধ আরও ২ জন মারা যান। তারা হলেন, সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাঈল গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ (৩২) ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাওয়ের অর্জুন দাসের ছেলে বাদল দাস (৪০)।এরও আগে ১১ই সেপ্টেম্বর রাতে বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক এবং পরদিন ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২)একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে নগরের পূর্ব মিরাবাজার বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের জেনারেটর কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটে। এতে ৯ জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে ম্যানেজারসহ ৭ জন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কাজ করতেন এবং দুই জন পথচারীও রয়েছেন। তাৎক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর দগ্ধ সকলকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে এখনও চিকিৎসাধীন- সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুরের জাবেদ আহমদের ছেলে রিপন আহমদ (২৪), একই গ্রামের লুৎফুর রহমান (৩০) ও জালালাবাদ নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার আরশ আলীর ছেলে রুমান (২৩)।ফিলিং স্টেশনের মালিক আফতাব আহমদ লিটন ঘটনার পর দাবি করেন, ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর কার্যক্রম শেষ করে সবাই পাম্প বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় কম্প্রেসর কক্ষের একটি বাল্ব চেক করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় আহত ৯ জনের মধ্যে ৬ জনই মারা গেছেন। সর্বশেষ মারা গেলেন মিনহাজ উদ্দিন আকন্দ(২৫)।