ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন সাবেক সংসদ সদস্য ও ভুমি প্রতিমন্ত্রী (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের টানা পাঁচবারের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভূঞা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)শনিবার(৩০শে সেপ্টেম্বর২০২৩ইং)ভোর ৩টায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল(৮৬)বছর।মৃত্যুর
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আব্দুস সাত্তার ভূঞার একমাত্র ছেলে মাইনুল হাসান তুষার।তিনি,এছাড়াও তিনি বলেন আমার বাবা কিডনিজনিত রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন।বাবার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে গত সপ্তাহে ঢাকার রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়,সেখানেই উনার চিকিৎসা চলছিল।এরই মধ্যে শনিবার ভোর ৩ঘটিকার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন।শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনে তার প্রথম জানাযা হবে বলে জানান তিনি,পরে তার মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজ গ্রামের নেওয়া হবে।সেখানে মরহুমের জানাযা শেষে গ্রামের বাড়িতেই তার বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।আব্দুল সাত্তার ভূঞা ১৯৩৯ইং সালের ১৬ই জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ ভূঞা ও রহিমা খাতুনের সংসারে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।দীর্ঘদিন তিনি৷এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি পদে ছিলেন।সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।পরবর্তিতে ১৯৯১ইং ও ১৯৯৬ইং সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ও জুনের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে বিপুল ভোটের মাধ্যমে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০১ইং সালের নির্বাচনে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্রেট মন্ত্রী হিসেবে আবদুস সাত্তার আইন,মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।তবে ২০০৮ইং সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন।২০১৮ইং সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। ২০২৩ইং সালের ২ই জানুয়ারি তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।পরে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করেন।