আশুলিয়া থানাধীন ইউনিক ফকিরবাড়ি মোর এলাকার একটি ভবন থেকে একই পরিবারে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেন আশুলিয়া থানা পুলিশ।এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।রোববার (১ই অক্টোবর ২০২৩ইং) দুপুরে আশুলিয়া থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন নিহত ব্যক্তির ভাই মোঃ আয়নাল হক।এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জোহাব আলী মামলা দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শনিবার রাতে আশুলিয়ার ইউনিক ফকিরবাড়ী মোড় এলাকার মেহেদী হাসানের মালিকানাধীন বহুতল ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেন আশুলিয়া থানা পুলিশ।নিহতরা হলেন-ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার লোহাগড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে মোঃ বাবুল ওরফে মুক্তার হোসেন (৫০),তার স্ত্রী সহিদা বেগম (৪০) ও তাদের ছেলে মেহেদী হাসান জয় (১২)।সহিদার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলা বলে জানা যায়।স্বামী-স্ত্রী দুজনেই আশুলিয়ায় পৃথক দুটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক ছিলেন।আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জোহাব আলী গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন,গতকাল রাতে একটি ফ্ল্যাটের দুটি কক্ষ থেকে একই পরিবারের মা-বাবা ও সন্তানের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনায় আজ নিহত বাবুল হোসেনের ভাই আয়নাল হক বাদী হয়ে একটি অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।তিনি আরো বলেন,মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।মরদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্যে রাতেই রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।এ ঘটনার সুস্ত তদন্তের মাধ্যমে মুল আসামিদের ধরতে মাঠে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।এই হত্যাকাণ্ড বিষয় নিয়ে ইউনিক ফকিরবাড়ির মোর এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে আতংক ও ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।ঘটনার পরপর গভীর রাতেই ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো.আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এ সময় দ্রুত ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে আসামিদের আইনের আওতায় আনার কথা জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার।এ ছাড়া গোয়েন্দা পুলিশ,র্যাব ও সিআইডির সদস্যরাও ঘটনাস্থল থেকে।আলামত সংগ্রহ করেন।এদিকে আশুলিয়া থানা সূত্রে জানা যায়,রোববার সকালে গাজীপুরের মৌচাক থেকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।