বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণসহ নানা অপূর্ণতার মধ্যেদিয়ে প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করছে সরকার।৫ই অক্টোবর২০২৩ইং,বিশ্ব শিক্ষক দিবস-২০২৩ইং এর প্রতিপাদ্য বিষয় কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার জন্য শিক্ষক স্বল্পতা পূরণে বৈশ্বিক অপরিহার্যতা। বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন।শিক্ষামন্ত্রী,শিক্ষা উপমন্ত্রী,প্রাথমিক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং দুই মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ আরো অনেকেই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।বিশ্ব শিক্ষক দিবসে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা, ৪৫শতাংশ বাড়ি ভাড়া,১হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, ইএফটিতে বেতন এবং বদলি ব্যবস্থার ঘোষণা চান শিক্ষকরা।চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে মাধ্যমিকের ও উচ্যমাধ্যমিক শিক্ষকরা আন্দোলন করে আসছেন দীর্ঘ যাবত।এমপিও ভুক্ত শিক্ষকগণ মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা,১হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান।অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস,একই একাডেমিক সময়সূচি,একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।তাছাড়াও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে প্রদান করা হয় এবং সহকারি প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল প্রদান না করার ফলে উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারি প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারি প্রধানদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ প্রকাশ রয়েছে।মাধ্যমিক ও উচ্য মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে বছরের পর বছর উপজেলা থেকে শুরু করে জেলা ও বিভাগীয় শহরে সমাবেশ,মানববন্ধন,বিক্ষোভ গনমিছিল,প্রতীকি অনশন, অবস্থান ধর্মঘট,কর্মবিরতিসহ প্রধানমন্ত্রী,অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর নিকট বারবার স্মারকলিপি দিয়েছিলেন শিক্ষকবৃন্দ।শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে দুইটি কমিটি গঠন করেও দেওয়া হয়েছে।শিক্ষকরা দ্রুতই তাদের দাবি পূরণে হবে বলে আশা ব্যাক্ত করেন।