গাজায় ছয় দিনে প্রায়ই ছয় হাজার বোমা ফেলেছে ইসরায়েল সৈন্য।হামাসের হামলার জবাবে গাজায় গত শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বোমা ও বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। এই ছয় দিনে গাজায় ছয় হাজার বোমা ফেলেছে ইসরায়েল সৈন্য।গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েল বলেছে,তারা বিগত ছয় দিনে গাজায় চার হাজার টনের ছয় হাজার বোমা নিক্ষেপ করেছেন।শুক্রবার(১৩ই অক্টোবর২০২৩ইং)আল জাজিরা সর্বশেষ সংবাদের মাধ্যমে এতথ্য জানিয়েছেন,এছাড়াও গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এক হাজার ৫৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে এ সংবাদে তথ্য তুলে ধরেন।
এ হামলায় নিহতদের মধ্যে ৫০০ শিশু ও ২৭৬ নারী রয়েছেন,আর আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৬১২ জন বলে জানা যায়।অন্যদিকে ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৩০০ জনের মত দাঁড়িয়েছেন।
গাজায় ২৩লক্ষ বাসিন্দার বসবাস,যার মধ্যে অর্ধেক শিশু।ইসরায়েলের হামলায় অবিরাম বোমা বর্ষণে প্রাণহানির পাশাপাশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চার লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান।অন্যদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে নিহতের সংখ্যা ৩১ জনের মত দাঁড়িয়েছে,যেখানে ছয় শতাধিক লোক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।এই অবস্থায় ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করেছে দেশটির সরকার।সেখানে খাদ্য,পানি,ওষুধ,জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।এখন সম্ভাব্য স্থল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি সেনা সদস্যরা।জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় দপ্তর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলছেন,গাজায় গত শনিবার থেকে বোমা হামলায় এক হাজারেরো বেশী বাড়িঘর মাটিতে মিশে গেছে।এবং ৫৬০টি হাউজিং ইউনিট তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে,যেগুলো ইতিমধ্যে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।১২ হাজার ৬০০টির বেশি বাড়ি ইসরায়েলি হামলায় স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।গাজার বেশকিছু কর্মকর্তারা বলছেন,ইসরায়েলের অবরোধ আর ভারী হামলায় সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।এর মধ্যেই ইসরায়েলি এক মন্ত্রী ঘোষণা দেন,হামাস সব জিম্মিকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় বিদ্যুৎ,জ্বালানি কিংবা মানবিক সাহায্য থাকবে না।গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলে গিয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবিষয়ে বৈঠক করেন। আগের দিনই ইসরায়েলে জরুরি ঐক্য সরকারের ঘোষণায় আসে।