সাভার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের(জাবি)বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক ছাত্রলীগ কর্মী বাসে উঠতে গেলে তাকে বাসে উঠতে না দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগে সেলফি পরিবহনের অন্তত ২৫টি বাস আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।শুক্রবার(১৩ই অক্টোবর ২০২৩ইং)বেলা আনুমানিক ১১ঘটিকার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরী গেইট সংলগ্ন থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেনে সেলফি বাসগুলো আটকাতে শুরু করেন তারা।এবিষয়ে পরে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ওরফে লিটনসহ কয়েকজন নেতা। পরে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে দুপুর দুইটার দিকে বাসগুলো পুনরায় ছেড়ে দেন।ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মীর নাম আব্দুল্লাহ আল সাদ।তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।এবিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল সাদের কাছে প্রশ্ন করলে তিনি গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন,গতকাল রাতে গাবতলি থেকে ছেড়ে আসা সেলফি পরিবহনের বাসে উঠতে গিয়েছিলাম।তখন জাহাঙ্গীরনগর যাব বললে,আমাকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়,এতে আমি তাতক্ষনিক অবস্থায় আঘাত পাই,এছাড়াও আমার সাথে বহন করা একটা ল্যাপটপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।বাস আটককারী কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,বাসের হেল্পারের ধাক্কায় সাদ মাটিতে পড়ে গিয়ে আঘাত পান এবং তার সঙ্গে থাকা ল্যাপটপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এ ঘটনার জেরে ওই হলের ছাত্রলীগের কর্মীরা বাস আটকাতে শুরু করেন।একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেলফি পরিবহনের মালিকদের একজন বলেন,অন্তত ২৫টি ঢাকা আরিচাগামী সেলফি বাস আটক রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এমন ছোটখাটো ঝামেলার বিষয়ের জন্য এতগুলো গণপরিবহন বাস আটকে রাখলে আমাদের অনেক ক্ষতি সম্মুখীন হতে হয়।পরে লিটন ভাই(ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক)আমাদের মালিকপক্ষের দুজনের সঙ্গে আলোচনায় বসে ২০হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিষয়টি সমাধান করেন।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন,বাস আটকানোর ঘটনা শুনেছি।সমস্যার সমাধান হয়েছে।টাকা পয়সার ব্যাপারে আমার জানা নেই।আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এই সমস্যার সমাধান চাই।প্রশাসন যেন বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন। কোনো শিক্ষার্থী যেন বাস সংশ্লিষ্ট কারও থেকে কোনো ধরনের হেনস্তার শিকার না হয়।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ.স.ম.ফিরোজ-উল-হাসান-গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন,বাস আটকানোর কথা শুনেছি।তখন নিরাপত্তা শাখার এক কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছিলাম।তিনি এঘটনার বিষয়ে আমাকে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন,শিক্ষার্থীরা বাসগুলো ছেড়ে দিয়েছে।তবে বাস মালিক বা শিক্ষার্থীরা কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ কোনোভাবেই করেনি,তবুও বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো বলে জানান তিনি।