সারাদেশের মতো যশোরের শার্শা-বেনাপোলেও চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কারিগররা।সরেজমিনে বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়,দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে মণ্ডপগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ।দেবী দুর্গার সঙ্গে কার্তিক,গণেশ,লক্ষ্মী,সরস্বতী প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পী কারিগরদের।এছাড়াও আয়োজকরা বলছেন,বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবছর বেশি মজুরি নিচ্ছেন মৃৎশিল্পী কারিগররা।যে কারণে পূজার খরচ বেড়েছে অন্তত বহুগুণ।প্রতিমা তৈরি কারিগর লক্ষণ,সুজন দাস,কার্তিক বলেন,আমরা প্রতি বছর শার্শা উপজেলাতেই কাজ করে থাকি।এবার গত কয়েক বছরের তুলনায় ভালোভাবে পূজার প্রস্তুতি নিয়েছেন।কমিটির লোকজনের চাহিদা অনুযায়ী এবার প্রতিমার আকার ও ডিজাইনে ভিন্নতা এসেছে।বর্তমানে আমরা মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির শেষ করে রঙয়ের কাজ করছি।রঙের কাজ শেষ করে কমিটির লোকজনের কাছে প্রতিমা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।এছাড়াও পূজামণ্ডপ ও মণ্ডপগামী সড়কগুলোয় বিশেষ করে রাতের বেলায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে শার্শা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী বৈদ্যনাথ দাস বলেন,এ উৎসব সবার জন্য।এর মাধ্যমে ভাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় সৃষ্টি হবে।এ আয়োজনকে সফল করতে সবার সহযোগীতা বিশেষ প্রয়োজন।কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য প্রশাসনের সার্বক্ষনিক সহযোগীতা আহবান জানান তিনি।এ বিষয়ে যশোরের নাভারণ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান কে প্রশ্ন করলে তিনি গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন,শারদীয় দুর্গাপূজা’শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষে পুলিশ যাবতীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন,গুরুত্ব সহকারে পূজা মণ্ডপগুলোকে কয়েকটি শ্রেণিতে বিভক্ত করে সে অনুযায়ী অফিসার-ফোর্স মোতায়েন করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি কয়েকটি পূজামণ্ডপ মিলে থাকবে পেট্রোল টিমের টহল পুলিশ।তারা ঘুরে ঘুরে পূজামণ্ডপগুলো মনিটরিং করবে সার্বক্ষনিক।