যশোরে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তিন প্রতারককে আটক করেছে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।শুক্রবার(১৩ই অক্টোবর ২০২৩ইং)সকালে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।যশোর শহরের নীলগঞ্জ মোড়ের দেশ সেফটি ফোর্স প্রাইভেট লিমিটেড নামক ভুয়া একটি কোম্পানির মাধ্যমে তারা এ প্রতারণা চালিয়ে আসছিল।সকালে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।গ্রেফতারকৃতরা হলেন, যশোর শহরের সিটি কলেজপাড়ার আব্দুল হামিদের ছেলে রাশেদুল হাসান,ঝিকরগাছা উপজেলার ফতেপুর গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে আশরাফুল আলম ও মল্লিকপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে শরিফুল ইসলাম।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোহাম্মাদ সাকিব হোসেন গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন,গত ১০ই অক্টোবরব ২০২৩ইং বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া গ্রামের বায়োজিদ বোস্তামি নামে এক যুবক দেশ সেফটি ফোর্স প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দেন। তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেবার কথা বলে প্রথমে ভর্তি ফি বাবদ তিন হাজার তিশত টাকা করে আদায় করেন।এরপর প্রত্যেকের কাছে তিন লাখ টাকা করে দাবি করেন।অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যশোর শহরের নীলগঞ্জ মোড়ের দেশ সেফটি ফোর্স প্রাইভেট লিমিটেডে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।এসময় প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারী ওই তিন যুবক প্রতিষ্ঠানটির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় গ্রেফতার করা হয়।এছাড়াও গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একপর্যায়ে ভুয়া কোম্পানি খুলে চাকরি দেয়ার কথা বলে বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করছে বলে স্বীকার করে।এ অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ২৬ সেট বিভিন্ন নামের ভর্তি ও আবেদন ফরম,১৬ টি ৫০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত অঙ্গীকারনামা,৫০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত অভিভাবকের সম্মতিপত্র ৮টি,সিকিউরিটি গার্ডের ক্যাপ ৬৫টি, সিকিউরিটি গার্ডের কালো প্যান্ট- ৩৬টি,লেইনিয়ার ২০টি,গার্ডের শার্ট - ৬০টি,৫৫জোড়া শোল্ডার ব্যাচ, ১টি ল্যাপটপ,একটি প্রিন্টার ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়।তিনি আরও জানান,আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা আইনে একটি মামলা দিয়ে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানা যায়।