আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কেও অংশগ্রহণ না করলেও তার জন্য নির্বাচন আটকে থাকবে না বলে মন্তব্য প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বুধবার(১৮ই অক্টোবর ২০২৩ইং) সকালে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য প্রকাশ করেন করেন।সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন,নির্বাচন সংবিধান মেনে চলতে হবে।কেউ যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না নেয় তাহলে নির্বাচন থেমে থাকবে না।এক-দুইটা দল নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচনের ক্ষতি হয়না।এদের ছাড়া নির্বাচন অগ্রহণযোগ্যতা হবে না।সেতুমন্ত্রী বলেন,নির্বাচন হচ্ছে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনারের অধীনে।নির্বাচন সংবিধানের সব নিয়মনিতী মেনেই হবে।তিনি আরও বলেন,বহু দল অংশ নেবে এক-দুইটা দল অংশ না নিলে নির্বাচনের কি আর হবে? নির্বাচন কি অবৈধ হয়ে যাবে?আপনি না আসলে আমি কী করব!নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা আপনার অধিকার।এটা কারো দয়া নয়। কেউ দয়া করে ত্রাণ বিতরণ করছে না।আপনার অধিকার আপনি প্রয়োগ করবেন। সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন,আজ শেখ রাসেলের জন্মদিন।আজ আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করছি,আজকের এ দিবস রাসেল দিবস।একসঙ্গে সারা দেশে পালিত হচ্ছে।রাসেলের জন্মদিনে আনন্দের চাইতে তার নৃশংস মৃত্যুর বেদনাটাই মুখ্য।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।সেই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ১০ বছরের শিশু সন্তান শেখ রাসেল।পৃথিবীতে অসংখ্য রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে কিন্তু ১৫ আগস্টের মতো নৃশংসতা, নির্মমতার হত্যাকাণ্ড আর কোথাও হয়নি।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,এই ষড়যন্ত্রের প্রধান কারণ ছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা। সেই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি যারা বাংলাদেশের শুরু করেছিল, এখনো তারা সেই হীন রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ায়নি বলে মন্তব্য প্রকাশ করেন।