শীর্ষ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের মহা সমাবেশ কে ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশ মুখে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি করছে পুলিশ।
নিয়মিত চেকপোস্টের অংশ হিসেবে এসব চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে বলে দাবি পুলিশের।শনিবার(২৮শেঅক্টোবর২০২৩ইং)সকাল থেকে আশুলিয়া থানার বাইপাইল এলাকায় চেকপোস্ট,ঢাকা-সাভার নবীনগর বাইপাইল–চন্দ্রা মহাসড়কের রাজধানীর প্রবেশ মুখ আমিন বাজারেও। টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের আশুলিয়া ও বিরুলিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায় গতকাল থেকে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত চলছে।আমিন বাজারের চেকপোস্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য যাত্রীবাহী সব ধরনের যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি ও যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।এ সময় প্রাইভেটকার,হাইয়েস,দূরপাল্লার যানবাহনে তল্লাশি চালানো হয়। ধামরাই থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত যাত্রীদের কমপক্ষে তিনটি চেকপোস্টের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।এছাড়া হেঁটে যাওয়া পথচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।যদিও পুলিশ বলছে যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে শুধু তাদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।গত রাতে বগুড়া থেকে ঢাকা মুখে একটি বাস থামিয়ে ৪৩ জনসহ শতাধিক যাত্রীকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।সাধারণ মানুষ বলছেন একটি একটি করে যানবাহনে তল্লাশি করার ফলে যানবাহনের পিছনে আরেকটা যানবাহনের সিরিয়াল জমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এতে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস)আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন,আজ ঢাকায় রাজনৈতিক দল গুলোর সমাবেশ রয়েছে।সমাবেশ কে ঘিরে কেউ যাতে নাশকতাসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য আমরা চেকপোস্ট পরিচালনা করছি।আশুলিয়ার বাইপাইল বিরুলিয়া ও আমিন বাজারসহ সাভারেই চারটি চেকপোস্ট কার্যক্রম চলমান রয়েছে।সন্দেহ হলেই করা হচ্ছে তল্লাশি।চেকপোস্টে আটকের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদের আমরা গ্রেপ্তার করছি। আর সন্দেহ হলে কিছু সময় হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।আমরা এটাকে আটক বলবো না।তবে এখন পর্যন্ত কত জনকে আটক করা হয়েছে তার প্রকৃত সংখ্যা তিনি বলতে পারেননি তিনি।