যশোর শহরের মনিহার এলাকায় বিআরটিসির একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।গত বৃহস্পতিবার(০২ইনভেম্বর২০২৩ইং)রাত আনুমানিক ১১ঘটিকার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মনিহারে বিআরটিসি বাসে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে যশোরের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
রাত সাড়ে ১১ঘটিকার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এসময় বাসটি পুড়ে যায়।এ বিষয়ে
বাসের চালক মিলন হাওলাদারকে প্রশ্ন করলে তিনি গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন,তিনি গাড়িটি পার্কিং করে রেখে গোসল করতে গিয়েছিলেন।এরই মধ্যে আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থানে ছুটে এলে,দেখতে পান গাড়ির পেছন ও উপরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে,পরে ফায়ার সার্ভিসের জরুরী ফোন দিলে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে প্রায় ৩০ মিনিট চেস্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।এ বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিষয় যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ অ্যান্ড অবস)মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন কে প্রশ্ন করলে তিনি গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন,কী কারণে বা কারা আগুন লাগিয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়।তবে এ বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখা হবে।কোনো নাশকতাকারী এটা ঘটালে অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তবে হরতাল-অবরোধকারীরা আগুন লাগিয়েছে বলে দাবি করেছেন শ্রমিক নেতা হারুনর রশিদ ফুলু।
তিনি আরো জানান,এই বিএনপি জামায়াত আগুন সন্ত্রাস করে ভয়াবহতার জানান দিচ্ছে।শ্রমিক ও পরিবহন সেক্টরে আগুন সন্ত্রাস করে নৈরাজ্য করার চেষ্টা করা হয়েছে।বিগত সময়েও এই বিএনপি জামায়াত একই কাজ করেছে বলে দাবী করেন।এদিকে লোকসমাগমের মধ্যেই বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা জানাজানি হলে শহরজুড়ে কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।মনিহারের স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিক নেতারা বলেন,বিআরটিসির এই যাত্রীবাহী বাসটি শুক্রবার সকাল ৭টায় মণিহার থেকে ভোলার চরফ্যাশানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিলো।বৃহস্পতিবার রাতে মণিহার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এনে পার্কিং করে রাখেন চালক।এরপর গাড়িটিতে মোটরপার্টস তোলা হয়। এরপর চালক ও হেলপার গাড়ি থেকে নেমে যান।রাত আনুমানিক পৌনে ১১ঘটিকার দিকে হঠাৎ করে গাড়ির পেছনের অংশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন আশপাশের লোকজনের ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন জরো হয়ে বালি পানি নিক্ষেপ করতে থাকে,এসময় দ্রুত আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়লে,সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের জরুরী ফোন দিলে তারা এসে প্রায় ৩০ মিনিট চেস্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।গাড়ির হেলপার মাসুম বিল্লাহ জানান,ভোলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িতে পার্টসপাতি তোলার পর তিনি সামনের দিকে গিয়েছিলেন।এর মধ্যেই স্থানীয় লোকজনের চিৎকার শুনে তিনি ফিরে এসে দেখেন বাসে আগুন জ্বলছে।কারা আগুন দিল বা কিভাবে আগুন ধরলো তা তিনি দেখেননি বলে প্রকাশ করেন।