বেনাপোল থেকে অপহৃত ওমর ফারুক সুমন(২৫)নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে মাগুরা পুলিশ।এর আগে গত(১১ইনভেম্বর২০২৩ইং)বেনাপোল থেকে তাকে অপহরণ করা হয় বলে জানা যায়।নিহত ওমর ফারুক সুমন(২৫)যশোর জেলার বেনাপোল শার্শা থানার টেংরালী গ্রামের মোঃ ওসমান গনির ছেলে।
বৃহস্পতিবার(১৬ইনভেম্বর২০২৩ইং)মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী পশ্চিম রামনগর এলাকা থেকে সুমনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।এদিকে ওমর ফারুক সুমনের স্বজনের তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়,সুমনকে অপহরণের দুদিন পর তার মা ফিরোজা বেগম বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।এবিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)শেখ সেকেন্দার আলী কে প্রশ্ন করলে তিনি গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন,ওমর ফারুক সুমন(২৫)বেনাপোলের একটি স্বর্ণ চোরাকারবারি চক্রের সঙ্গে জড়িত।প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে সুমনের সাথে কোনো লেনদেনের ঝামেলার জেরেই প্রতিপক্ষ তাকে অপহরণ করে হত্যা করে মরদেহ মাগুরায় ফেলে রেখে যায়।বৃহস্পতিবার সকালে আলমখালী পশ্চিম রামনগর এলাকার স্থানীয় বসবাসকারী মরদেহটি দেখতে পেয়ে ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশে বিষয়টি অবহিত করেন।পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে,পরিচয় শনাক্ত শেষে নিশ্চিত হয় মরদেহটি ওমর ফারুক সুমনের,পরে মরদেহটি বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।এবিষয়ে নিহতের পরিবার ও এজাহার তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়,গত(১১ই নভেম্বর২০২৩)দুপুরে সুমন কালো রঙের পালসার মোটরসাইকেলে করে পাত্রী দেখার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি সাথে থাকা মুঠোফোনে কল দিলে বার বার বন্ধ দেখায়।পরদিন সকালে অচেনা নাম্বার দিয়ে একজন ফোন দিয়ে আমাদের জানান যে সুমনকে অপহরণ করা হয়েছে বলা শেষ করেই ওই নাম্বাররের সুইচ অফ করে রেখেছে,পরে বেনাপোল পোর্ট থানায় গিয়ে অজ্ঞাত আসামি দিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।