দূর্যোগ ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমানের প্রটোকল অফিসার পরিচয়দানকারী ও সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাহিদুল ইসলাম অরফে ভেলকা জাহিদ(৩৫)নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে,এছাড়াও বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সাথে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেছবুকে আপলোড দিয়ে নিজেকে বড় রাজনৈতিক নেতার পরিচয় দিয়ে থাকেন তিনি।এছাড়াও দূর্যোগ ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমানের সঙ্গে বিভিন্ন সময় সেলফি তুলে,সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেছবুকে আপলোড সহ ব্যবহার করেন সরকারি বিভিন্ন দপ্তরেও।এদিকে ভুক্তভোগীদের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকজন বেকার যুবক-যুবতীর কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাহিদুল ইসলাম ওরফে ভেলকা জাহিদ(৩৫)নামে এই প্রতারকের বিরুদ্ধে।এবিষয়ে দূর্যোগ ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমানের জানতে চাইলে তিনি বলেন,জাহিদ নামক আমার কোন প্রটোকল অফিসার নেই,তাছাড়া কেও যদি এধরণের পরিচয় দিয়ে থাকেন তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।জাহিদুল ইসলাম ওরফে ভেলকা জাহিদ(৩৫)বর্তমান সাভার উপজেলা রেডিও কলোনীর অস্থায়ী বাসিন্দা,তার গ্রামের বাড়ি ধামরাই উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন।ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তোলা ছবি ব্যবহার করে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকজন বেকার যুবক-যুবতীর কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাহিদুল ইসলাম ওরফে ভেলকা জাহিদ(৩৩)নামে এই প্রতারকের বিরুদ্ধে।এসব প্রতারণার কারণে দীর্ঘদিন যাবত তিনি ধামরাইয়ের নিজগ্রাম ছেড়ে পরিবার নিয়ে সাভারে বসবাস করছেন বলে জানা যায়।এদিকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে যে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ভেলকা জাহিদ, সে-ই টাকার একটা অংশ দিয়ে স্ত্রীর নামে জমি কিনেছেন বলে এমন অভিযোগও উঠেছে জাহিদ ইসলাম ওরফে ভেলকা জাহিদ(৩৫)এর বিরুদ্ধে।বাপ দাদা চৌদ্দগুষ্টি বিএনপি'র রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলেও আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর নিজের পরিবারকে মামলা মুক্ত রাখতে জাহিদুল ইসলাম ওরফে ভেলকা জাহিদ(৩৫)কৌশলে ধামরাই,আশুলিয়া ও সাভারের স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের পদলেপন করা শুরু করেন।তবে ধামরাই অঞ্চলের স্থানীয় নেতারা তার বাপ-দাদার রাজনৈতিক পরিচয় জানতে পেরে সেখানে তেমন একটা সুবিধা করে তুলতে পারেননি ভেলকা জাহিদ।পরবর্তী সাভার উপজেলায় এসে সুযোগ নিয়েছেন বলে জানান ধামরাই উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের এলাকাবাসী।এরপর ছবির রাজ্যে নিজেকেই গড়ে তোলেন আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা পরিচয়দানকারী হিসেবে।জাহিদুল ইসলাম ওরফে ভেলকা জাহিদ(৩৫)কখনো সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুরুল আলম রাজীবের ভাগিনা,কখনো ধামরাইয়ের এমপি বেনজির আহমেদের আপন খালাতো ভাই,আবার কখনো দূর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমানের প্রোটোকল অফিসার পরিচয় দিয়ে মানুষদের সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আকৃষ্ট করাই তার প্রধান আয়ের উৎস।এছাড়াও প্রতারণা ব্যবসার সাথে সাথে টার্গেটরত সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে কথিত সম্পর্ক গড়ে ব্যবসার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করাই তার মূল পেশা।তার প্রতারণার জালে জড়িয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন শতাধিক নারী ও পুরুষ।এমনকি তার ছলনা ও প্রতারণার হাত থেকে রেহাই পাননি খোদ পুলিশের একাধিক সদস্য।ভুক্তভোগীদের একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার থেকে তথ্যসূত্রে জানা যায়,জাহিদুল ইসলাম ওরফে ভেলকা(৩৫)পিতার হাত ধরে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল।ধামরাই উপজেলার ভাড়াটিয়া ইউনিয়ন বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় তারা পারিবারিকভাবে সেই রাজনীতির সাথে সরাসরি সক্রিয় ছিলেন। ভোল্ট পাল্টে রাতারাতি সরকার দলীয় নেতা পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সাভার আশুলিয়া ধামরাইসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল।তার জালে প্রতারণার শিকার হয়েছেন,সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুরুল আলম রাজীব,ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান,ধামরাইয়ের এমপি বেনজির আহমেদ।এমনকি যার করুণায় জাহিদ এত দূর সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক কেউ সে ছাড় দেননি।এছাড়াও বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে আতিক এর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে আতিকের কাছে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই প্রতারক জাহিদ।বিগত সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মিদের কাছে সমস্ত তথ্য আদান প্রদান করেছেন এই ভেলকা জাহিদ,এমনকি এর থেকে ছাড় পায়নি উপজেলার চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব,উপজেলা চেয়ারম্যানের সাম্প্রতিক একটা ভিডিও ভাইরা হওয়ার সাথে জড়িত ছিলেন জাহিদ ইসলাম ওরফে ভেলকা জাহিদ(৩৫)।তবে ভেলকা জাহিদের এই চতুর্পনা সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে,আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাকর্মীদের কাছে,তারা বলছেন,জাহিদের মত হাইব্রিডদের স্থান না দিয়ে প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের নিয়ে পথ চলতে হবে।জানা গেছে,কিছুদিন পূর্বে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর ছেলের শুভ বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে ধুমধাম এই আয়োজনের দাওয়াত কার্ড চুরি করে দেশের বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকদের দাওয়াত দেন জাহিদ ইসলাম ওরফে ভেলকা জাহিদ(৩০)সেখানে গিয়ে তিনি ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীকে ফোন কলে সক্ষতার কথা শোনান।এই পরিচয়ের ব্যাপারটি যাচাই-বাছাই করেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সাথে পূর্ব সম্পর্ক থাকায় বড় ধরনের প্রতারণা থেকে বেঁচে গেছেন বলে জানান তিনি।এ ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান কে জানানো হলে তিনি সতর্ক হয়ে যান।এর আগে সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুরুল আলম রাজীবের বিরুদ্ধে মানহানিকর কুৎসা রটায় এই জাহিদ।আবার চেয়ারম্যানের সামনে গেলে প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানিকর কুৎসা রটানো হয়। শুধু তাই নয় বিএনপি'র এজেন্ডা বাস্তবায়নে আওয়ামীলীগ নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দেওয়ার পটু হচ্ছেন ভেলকা জাহিদ।সরকার দলীয় কোন পদ না থাকলেও সাভার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয় দেওয়া ভেলকা জাহিদ থেকে সাবধান থাকতে বলেছেন ঢাকা ২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ সহ সাভার আশুলিয়া ও ধামরাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
চলবে,,দ্বিতীয় পর্বে।