যশোর আদর্শ বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজ বাসভবনে ডেকে নিয়ে পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দুই ঘন্টা মধ্যযুগীয় কায়দায় দুই ঘন্টা গোপনাঙ্গে আঘাতসহ শারীরিক নির্যাতনের শিকারের অভিযোগ উঠে।গত(৮নভেম্বর২০২৩ইং)তারিখে আদর্শ বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ বাণিজ্যে সুযোগ না করে দেওয়াসহ ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে,যশোর আদর্শ বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারীরিক নির্যাতন করেছে যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী।এ সময় অভিযুক্ত যশোর উপজেলার চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহাম্মেদ চৌধুরী নিজে উপস্থিত থেকে ও তাঁর পালিত সন্ত্রাসী দিয়ে ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিনকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মেরে মারধর এবং অন্ডকোষে চেপে ধরে নির্যাতন করেছে।ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বলেন,উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার লোকজন আমার অণ্ডকোষ চেপে ধরে এবং মাথা মুখে ব্যাপক আঘাত করে।আমাকে যখন ছেড়ে দেয়া হয় অণ্ডকোষের যন্ত্রণা থেকে লাঘব পেতে প্রকাশ্যে রাস্তায় লোকজনের সামনে প্রস্রাব করে দিই।তারপরও আমার ব্যথা কমেনি।পাশের একটা ফার্মেসি থেকে ব্যথার ওষুধ কিনে খাই।এতেও আমি উপকার না পেয়ে বাসায় ফোন করে আমার স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে এসে তার সহায়তায় উন্নতি চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে যাই।হাসপাতালে যাওয়ার খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহাম্মেদ চৌধুরী ফোন দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে বারন করেন,ভর্তি হলে তোকে খুন করবো।মানুষ মারলে কিছুই হয় না,যার একটি কল রেকর্ড বিসিএন নিউজ২৪ এর হাতে সংরক্ষিত।উপজেলার চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহাম্মেদ চৌধুরী মুঠোফোনের হুমকি দেওয়ায় আমি ভয়ে চিকিৎসা না নিয়ে বাড়ি ফিরে আসি এবং গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছি।আমি যাতে কাউকে কিছু না বলি সেজন্য আমাকে প্রতিদিনই হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।বর্তমানে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।এবিষয়ে আইনি সহযোগিতা না পেয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানান তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা।এছাড়াও গত(৫ইঅক্টোবর ২০২৩ইং)তারিখে,কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে প্রধান শিক্ষক মো: মনিরুল ইসলামকে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে দিবালোকের সামনে মারধর করে লাঞ্ছিত করেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহাম্মেদ চৌধুরী,এর পূর্বেই নড়াইল সদরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে গলায় জুতার মালা পড়িয়ে হেনস্থা করা হয়েছে।নারায়ণগঞ্জে বন্দর উপজেলার প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রকাশ্যে কান ধরে উঠবস করিয়ে লাঞ্ছিত করেছে।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.নজরুল ইসলামকে পেটানোর ঘটনায় খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে বরখাস্ত করা হয়েছে।এই ধরণের সরকার দলীয় ক্ষমতার দাপট অপব্যবহারের মাধ্যমে নির্যাতন-সেচ্ছাচারিতা সমাজে আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে এবং ব্যক্তির পেশাদারিত্বের মর্যাদা ও সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুন্ন করছে বলে মন্তব্য প্রকাশ করেন।উপরোক্ত নির্যাতনের বর্ণনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে,অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের এইরূপ নিষ্ঠুর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ফৌজদারি এবং বিভাগীয় আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।যেহেতু,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের জনস্বার্থে দায়িত্ব ও কার্যাবলি উপজেলা বিচার বিভাগের(সংশোধন)আইন,২০১১ইং দ্বারা নির্ধারিত বলা রয়েছে।অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের এই ধরণের ক্ষমতার অপব্যবহার ও দম্ভ প্রকাশ উক্ত আইনের ধারা ১৩ উপধারা ১,(গ)(অ)অনুযায়ী অসদাচরণের দায়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে,যা স্থায়ী পদ হতে অপসারণযোগ্য এছাড়াও(সংশোধন-২০২১ইং)আইনে উল্লেখিত হয়েছে।নির্বাচিত ও শপথ বদ্ধ জনপ্রতিনিধির নিকট হতে এইরূপ উশৃঙ্খল সেচ্ছাচারী আচরণ,ক্ষমতার দম্ভ প্রকাশ ও অসদাচরণ কাম্য নয়।এবিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)আব্দুর রাজ্জাক কে প্রশ্ন করলে তিনি বিসিএন নিউজ২৪ কে বলেন আমরা প্রধান শিক্ষকের উপর নির্যাতন শিকারের একটা অভিযোগ পেয়েছি,এ ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে,ঘটনায় অভিযুক্তদের সত্যতা পেলেই,তাদের কে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান তিনি।