অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতাদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য প্রকাশ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এছাড়াও তিনি আরো বলেন,দেশে অগ্নিসন্ত্রাসের যারা হুকুমদাতা ও অর্থদাতা তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেটাই করে যাচ্ছেন।রোববার(২৬শে নভেম্বর২০২৩ইং) গণভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল তুলে দেওয়া হয়।ফলাফল ঘোষণার আগে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা উপস্থাপন করেন।সরকার কখনও কারও রাজনৈতিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করেনি উল্লেখ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,২০১৩ইং সাল থেকে যারা এই জালাও পোড়াও আগুন সন্ত্রাসীরা,তিন হাজারের ওপরে মানুষ পুড়িয়েছে।সে ঘটনায় অন্তত কয়েক হাজারের নিরীহ মানুষের প্রান গেছে।এছাড়াও লঞ্চ,গাড়ি,বাস,ট্রেন—কিছুই বাদ যায়নি এই অগ্নিসংযোগ সন্ত্রাসের হাত থেকে। সেই সময় যারা আসামি ছিল তারা বেশিভাগ পলাতক ছিল বলে জানান।যখন এই বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের সমমনা দলগুলি রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করেছিলেন,তারা বহাল তবিয়তে এসেছে।তারা যখন শান্তিপূর্ণ সভা করেছে,তখন কোনো বাধা দেওয়া হয়নি বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,কিন্তু যখনই তারা আবার জ্বালাও-পোড়াও শুরু করলো,বিশেষ করে(২৮শে অক্টোবর ২০২৩ইং)থেকে তাদের যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড—পুলিশকে পিটিয়ে পিটিয়ে মারা,একটা বীভৎস দৃশ্য যা দেখলে কোনোভাবেই সহ্য করা যায় না।এমনকি শুনলে আপনারা অবাক হবেন যে,রেললাইন কেটে রেখে দিয়েছে যেন বগি পড়ে যায়,দুর্ঘটনা হয়।দুর্ঘটনা হলে কী হবে,সাধারণ মানুষ রেলে চড়ে,অতি সাধারণ মানুষ,তাদের প্রান যাবে। তাদের হত্যার জন্য রেললাইন কেটেছে।যাইহোক,স্থানীয় সাধারণ জনগণ সচেতন ছিল,তারা সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ জায়গায় জানিয়েছে বলেই কয়েকটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।তারপরও তারা ট্রেন পুড়িয়েছে,এমনকি সংবাদ সংগ্রহকালে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা সহ নারীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন,এখন তো প্রতিনিয়ত অগ্নিসন্ত্রাস করেই যাচ্ছে।ফলে এখন ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো একটা ভীতির অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।অথচ যতক্ষণ তারা সঠিকভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করেছে,ততদিন কিন্তু তাদের কোনো অসুবিধা ছিল না।তাতে বিএনপি বা তাদের দলগুলির ভাবমূর্তিও আরও বেড়েছিল।কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার পর এখন জনগণের কাছ থেকে তারা আবার সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,সাধারণ মানুষ,একজন মানুষ হয়তো অনেক কষ্ট করে একটা বাস তৈরি করে,সেটা থেকে তার জীবন-জীবিকা চলে।সেটা যখন তার চোখের সামনে পুড়ে যায় বা বাসের ভেতরে হেলপার ঘুমিয়ে আছে,সেই অবস্থায় যখন একটা গাড়ি পোড়ায় যারা এভাবে অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত বা যারা হুকুমদাতা,এবং যারা এর অর্থদাতা,তদের আমরা কী করবো?তাদের কি ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেব?না,তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইন্শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।কারণ তাদের বিরুদ্ধে যদি আমরা ব্যবস্থা না নেই,তাহলে এই জ্বালাও-পোড়াও তো তারা চালাতেই থাকবে।আমাদের অনেকেই বলে,তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হলো।তারা এটা বলে না,এরা অগ্নিসন্ত্রাসী,পুলিশ হত্যা করেছে,সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে।এখন ডিজিটাল যুগ।সাধারণ মানুষও ছবি তোলে,সঙ্গে ছবি পাওয়া যায় এবং একেবারে চিহ্নিত।যারা এই ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত,অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে। মানুষের স্বার্থে,জনগণের স্বার্থে,জনগণের সুরক্ষা দিতে,নিরাপত্তা দিতে।সেটাই আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী করে যাচ্ছে এবং সেটাই করা হবে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,যারা এভাবে মানুষকে পোড়াবে,মানুষের সম্পদ নষ্ট করবে,জাতীয় সম্পদ নষ্ট করবে,তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।আমি আশা করি এদের অন্তত একটু শুভবুদ্ধির উদয় হবে,এগুলো বন্ধ করবে। আর বন্ধ না করলে যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমাদের নিতেই হবে, জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই নিতে হবে।এ অনুষ্ঠানের উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি,শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।