ঝালকাঠি পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রিপন মল্লিকের(৫২)রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।তিনি একই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা।প্রতিবেশী তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়,সৌদি প্রবাসী কামাল হোসেনের স্ত্রী শিরিন আক্তারের ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় গত সোমবার(১৫ই জানুয়ারি ২০২৪ইং)রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ঘটিকার দিকে ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রিপন(৫২)কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর কতৃপক্ষ তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম আল আমিন।এদিকে সৌদি প্রবাসী মোঃ কামাল হোসেনের বাসায় রিপন(৫২)কে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন রাতে।পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে প্রবাসী কামাল হোসেনের স্ত্রী শিরিন বেগম কে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।এদিকে নিহতের স্বজন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,কৃষ্ণকাঠি মল্লিক বাড়ির বাসিন্দা আওয়ামী লীগ ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি রিপন মল্লিক প্রায়ই সৌদি প্রবাসী কামালের স্ত্রী শিরিন আক্তারের ঘরে যাতায়াত করতেন বলে জানা যায়।শিরিনের ছেলে ইমন হোসেন গত চারদিন আগে ঢাকায় যান।শিরিন ঘটনার দিন ঘরে একা ছিলেন।আশেপাশের প্রতিবেশী তথ্যে সুত্রে জানা যায়,রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ঘটিকার দিকে শিরিন তার ঘরের ভেতর থেকে চিৎকার করছিলেন।এসময় আমিসহ আশপাশের লোকজন ঘরে ঢুকে দেখি,রিপন মল্লিক অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন।তার গায়ে রক্ত রক্ত ছিল।এসময় রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঝালাকাঠী সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে।সেখানেকার দায়িত্ব থাকা চিকিৎসক রিপন মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।এবিষয়ে নিহত রিপন মিয়ার ভাই সমির মল্লিক জানান,স্থানীয়রা ফোনে জানান যে রিপনকে মেরে মাথা ফাটানো হয়েছে।খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থল শিরিনের ঘরে গিয়ে মেঝেতে রক্ত অবস্থায় দেখতে পাই।পরে লোকজন রিপনকে ঝালকাঠির সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়,ঘটনার সময় শিরিন তার ঘরেই বসেছিলেন।ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোঃ মহিতুল ইসলাম বলেন,আমাদের কাছে মনে হচ্ছে,এটা হত্যাকাণ্ড।পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে।৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং শিরিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।বিষয়টি তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।