স্টাফ রিপোর্টার(জাহিদুর রহমান)।
গত বছর ২০২২ইং সালের বহুআলোচিত ১৪ বছরের কিশোরী ধর্ষণ মামলায় হাজত বাসের পর বিয়ের শর্তে জামিনে বের হয়ে ২০২৪ইং সালে দ্বিতীয়বারের মতো সাভার সরকারি কলেজের অনার্স পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণ ও একাধিকবার গর্ভপাতের মামলায় প্রধান আসামি বহিষ্কৃত সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার(৮ই ফেব্রুয়ারি)বিকেলে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার সিনিয়র জুডশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।শুক্রবার (৯ই ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার তদন্তে থাকা মামলার নথি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা আদালত সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন শাখার (জিআরও)উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই)এসএম শাহরিয়ার।এর আগে বুধবার(৭ই ফেব্রুয়ারি)দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার শায়েস্তা ইউনিয়নের শাহরাইল এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে পলাতক সোহেল রানাকে একটি মহিলা মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।গত(২ই ফেব্রুয়ারী শাহরাইল গ্রামের আফসার উদ্দিনের বড় মেয়ে আফসানা আক্তার মীমকে(২১)তথ্য গোপন করে বিয়ে করে আত্মগোপনে ছিলেন অভিযুক্ত সোহেল রানা। বুধবার তার নব্য শশুরবাড়ির সাজানো বাসর ঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।এসব ঘটনা জানাজানির পর সোহেল রানার বিরুদ্ধে নববিবাহিত স্ত্রী ও মাদ্রাসা ছাত্রী মীমের পরিবারও প্রতারণা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।পাবনা জেলার মোহাম্মদ আলীর দুই সন্তানের মধ্যে সোহেল রানা বড়।এর আগে মোহাম্মদ আলীর ছোট ছেলে ও সাভার পৌর ছাত্রলীগ নেতা সুমন রানা বঙ্গবন্ধু সেতুর সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।এ সময় ওই মোটরসাইকেলে থাকা এক তরুণী গুরুতর আহত হয়। পরে সুমন রানার পরিবার আহত ওই তরুণীর বিরুদ্ধে সুমনকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ রয়েছে ওই তরুণীর সাথে দীর্ঘ ৮ বছর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে শারীরিক সম্পর্কের পর আর বিয়ে করেননি নিহত সুমন রানা। ওই তরুণী আত্মসম্মানের ভয়ে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করছে বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।কারাগারে যাওয়া ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানার বিরুদ্ধে এর আগেও নারী কেলেঙ্কারি,প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে প্রতারণা,হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর,চাঁদাবাজিসহ আরও বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।ভয়ংকর অপরাধী সোহেল রানা ওরফে ধর্ষণ রানা ওরফে ড্যান্সার রানাকে আইনের আওতায় আনায় সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আকবর আলী খানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ধর্ষকের কঠোর শাস্তি দাবী করেছেন সাভার বাসী।