আশরাফুল আলম(ধামরাই প্রতিনিধি)
দীর্ঘদিন ধরে ছেলের চাকরি প্রলোভন দেখিয়ে,আসছে আফাজ উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী। ছেলেকে চাকরি দেওয়ার শতভাগ নিশ্চিত করেন আফাজ উদ্দিন।নিজের বাড়িতে ছেলের মাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।ছেলের মা বারবার চিৎকারের চেষ্টা করে কিন্তু ছেলের মাকে মুখ বেঁধ এই ধর্ষণের কাজ শেষ করেন। ধর্ষণকারী ছেলের মাকে বারবার বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করে,আপনার ছেলের চাকরি হওয়ার জন্য,টাকা পয়সা যা লাগে সব আমি দিব কিন্তু কাউকে কিছু বলবেন না।ওই নারী থেমে না থেকে ৯৯৯ ফোন করলে,ধর্ষণে অভিযুক্ত আফাজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করার প্রচেষ্টা চালায় পুলিশ।এ ঘটনায় ভিকটিম নিজেই এসে,ধামরাই থানায় মামলা করেন।গ্রাম্য সালিশে ৯-১০ লক্ষ টাকায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে গ্রাম্য বিচারকরা,কিন্তু এই ধর্ষণের সংবাদ সাংবাদিকদের মাঝে চলে আসে।সাংবাদিকরা এই ঘটনাটি ধামরাই থানা ইনচার্জ কে অবগত করেন।এরপর বাদীর মুখে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়,ঘটনাটি সত্য বলে নিশ্চিত হওয়ার পর,অভিযুক্ত ধর্ষক আফাজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।এই ঘটনা শোনার পর গ্রাম্যবিচারকরা,ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়।এই ঘটনাটি ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নের নান্দেশ্বরী এলাকায় ঘটে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আশরাফ আলী বলেন,ভিকটিম নিজের মুখে স্বীকারোক্তি দেওয়ার কারণে,ধামরাই থানায় মামলা করা হয় এবং ধর্ষণ অভিযুক্ত আফাজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।