আশরাফুল আলম(ধামরাই প্রতিনিধি)।
ধামরাইয়ে কেলিয়ার উত্তরপাশে বংশী নদী ভরাট চলছে ধানের চাতালের ছাই দিয়ে।ভরাটের ফলে নদীর পানির গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে।দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।শুধু ভরাটেই এর শেষ নয়,এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক একটি মহল নদীপারের ২০২৩ইং সালে সরকারি জমি বিক্রি করার অভিযোগ উঠে।যেখানে দোকানপাটও নির্মাণ করা হয়েছে।এলাকাবাসীর তথ্য সুত্র থেকে আরো জানা যায়,উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের কেলিয়া এলাকায় কে অ্যান্ড কে অটোরাইস মিল,কাদের আটো রাইস মিল,সৌদিয়া অটো রাইস মিল,সুষমা অটো রাইস মিল মালিকপক্ষ নদী ভরাট করে পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।ছাইয়ের কারণে রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল করতে অসুবিধা হয় বলে জানা যায়।অপ্ল বাতাসেই চাতালের ছাই উড়ে মানুষের চোখমুখ ভরে যায়।আশপাশের বাড়িঘর,গাছপালা, ফসলের ক্ষেতে স্তর পড়েছে।ছাই নদীর পানিতে ভেসে যাওয়ার কারণে ওই পানি দিয়ে কোনো ধরনের কাজ করতে পারছে না স্থানীয়র সাধারণ মানুষ।ধামরাই পৌরসভা থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার পশ্চিমে ধামরাই থেকে কালামপুর সড়কের পাশেই চলছে ভরাটের কাজ।
একটি অটো রাইস মিল কারখানায় প্রিলি ক্লিনার,প্যাডি ক্লিনার,বয়লার,ড্রায়ার পেডি হাস্কার,পেডি সেপারেটর,রোটারি শিফটার,লেন্থ গ্রেডার,কালার সার্টার,ডিস্টোনার,থিকনেস গ্রেডার,হোয়াইটনার,সিল্কি পলিশার যন্ত্রপাতি থাকার কথা থাকলেও অধিকাংশ অটো রাইস মিলগুলোতে এসবের কিছুই নেই,তবে কারো রাইছমিলে থাকা অবস্থায়ও খরচ বেড়ে যাওয়ার ভয়ে সেগুলোর সঠিক ব্যবহার করছে না বলে অভিযোগ উঠে। যার ফলে এ সকল রাইস মিলের উৎপাদিত চাউলের সঠিক মান ঠিকভাবে থাকছে না,অন্যদিকে পরিবেশ দূষিত ও হুমকির সম্মুখীন
হচ্ছে খুব সহজেই।বাংলাদেশ সরকারি নীতিমালা অটো রাইস মিল করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র,ট্রেড লাইসেন্স,শিল্প সনদ,ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স,ফুড লাইসেন্স এবং চকিদারি খাজনা রশিদ প্রদান করে অটোরাইস মিল স্থাপন করা ও আবাসিক এলাকা,হাসপাতাল,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা বাহিরে অটো রাইস মিল স্থাপন করার নির্দেশনা রয়েছে,যার কোনোটাই মেনে চলেন না এই রাইছমিলের কতৃপক্ষ।অথচ শিল্পাঞ্চল ও জনবহুল ধামরাই উপজেলায় বেশিরভাগই রাইস মিল গড়ে উঠেছে আবাসিক এলাকায়।শুধু তাই নয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশেও কিছু কিছু প্রভাবশালী ব্যাবসায়ীরা গড়ে তুলেছেন অটো রাইস মিল।এতে ধোঁয়া,ছাই ও শব্দদূষণে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে জনজীবন।কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে,সেই সাথে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পরিবেশ।এ সকল রাইস মিলের বেশিরভাগ নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র,দু-একটা থাকলেও তা নিবন্ধন নেই খাদ্য অধিদপ্তরের।এ সমস্ত নদী ভরাট করার সুযোগ ও স্থাপনা তৈরি করতে না পারে,এবিষয়ে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী,তাছাড়া বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন।এদিকে একাধিকবার এসব রাইস মিলের মালিকপক্ষ সাথে নদীতে রাইছ মিলের চাতালের ছাই দিয়ে ভরাটের বিষয়টি যোগাযোগ করে জানার চেস্টা করতে চাইলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।এবিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ’এর কাছে জানতে চাইলে,তিনি বিসিএন ২৪’এর ধামরাই প্রতিনিধি’কে জানান অটোরাইস মিলের ছাই দিয়ে নদী ভরাট বিষয়টি আমার জানা নেই যদি এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলেই সরজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে রাইস মিল মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।