সাভার প্রতিনিধিঃ
সাভার মডেল থানাধীন ৯নং ওয়ার্ডে আনন্দপুর ও সিটিলেন এলাকায় কোনোভাবেই কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না অভিযোগ এলাকাবাসীর।এছাড়াও ছিনতাই,চাঁদাবাজি,হামলা ও খুনাখুনি ঘটায় এসব গ্যাংদের মাধ্যমে ঘটে।এলাকার ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সের ব্যক্তিও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য কিংবা এদের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করেন।এসব গ্যাং অস্ত্র-মাদক কারবার,ছিনতাই-চাঁদাবাজি,অপহরণ,ডাকাতি,ভূমি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্মে সাথে জড়িত থাকে,এসব সদস্যরা সাভারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এ রকম প্রায় ১০ টিরও বেশি সন্ত্রাসী চক্র,শুধু তা-ই নয় এরা রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর,হাজারীবাগ,মিরপুর ও দারুস সালাম এবং সাভার এলাকা থেকে বিভিন্ন কিশোরগ্যাং সদস্যরা সম্পৃক্ত।তাদের প্রতেকের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।কেউ গাড়িচালক,হেলপার,কেউ দোকান কর্মচারী,কেউবা নির্মাণ শ্রমিক। আবার কেউ পুরোনো মালপত্র ক্রেতা বা সবজি বিক্রেতা।এসব পেশার আড়ালে তারা ছিনতাইসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায় বলে অভিযোগ স্থানীয় বসবাসরত এলাকাবাসীর।এসব গ্রুপের সদস্যরা ফিটনেস বিহীন নাম্বার প্লেট ছাড়া দলবদ্ধভাবে মোটরসাইকেল যোগে মহড়া দিয়ে এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে।তারা রিকশা,ভ্যান,সিএনজিচালিত অটোরিকশা যাত্রীদের টার্গেট করে ছিনতাই করে।হরহামেশা কাউকে গুলি করতেও দ্বিধা করে না তারা। প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে তারা সাধারণ পথচারীদের মাদকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ও করারও তথ্য উঠে আসে।এলাকাবাসীর তথ্যমতে,সম্প্রতি ৯নং ওয়ার্ড সিটিলেন তেলের পাম্পের পিছনের সড়কে নামারপার এলাকায় সংযুক্ত সড়ক ইমান্দীপুর,আনন্দপুর পকুরপাড় মধ্যগেন্ডা এলাকায় সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ‘কিশোর গ্যাং’সদস্যরা এসব তাণ্ডব চালায়। প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করে।ওই সময় ছিনতাইকারীরা পথচারীসহ এলাকার প্রধান সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটারজুড়ে ছিনতাই করে তারা।এছাড়াও এলাকায় লালমিয়া গ্রুপ,নাজমুল গ্রুপ,ইমরান গ্রুপ’সহ নামে বেনামে বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যরা এধরণের কর্মকান্ড করে বেড়ায় বলে জানা যায়।এদের মধ্যে কেও কেও দেশীও অস্র হাতে নিয়ে সেলফি তুলে সদস্য গ্রুপে পোস্ট করেন নিজের পরিচিতির জন্যে,কিশোরগ্যাং গ্রুপের অন্যতম হোতা লালমিয়া,সজীব,নজরুল,ইমরান নান্নু নাজমুল কামাল সহ আরো অনেকের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মাদক ছিনতাই সহ একাদিক মামলা রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যায়।প্রতি গ্রুপে ২০ থেকে ২৫ সদস্য থাকে।গাড়ী চালক লাল মিয়া গ্রুপটি তার নিজের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন পরিচালিত হয়ে আসছে। চাঁদাবাজি,ছিনতাই,ডাকাতিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায় বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।এবিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)আকবর হোসেন বলেন সাভারে কিশোরগ্যাং উৎপাত যতই হোক আইনের হাত থেকে কারোই ছাড় নেই এসব কিশোরগ্যাং'এর বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান অব্যহতি রয়েছে বলে জানান তিনি।
চলবে দ্বিতীয় পর্ব,,।