1. info@www.bcnnews24.com : BCN NEWS 24 :
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দেশবাসী’কে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা। ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুবদল নেতা:শহিদুল ইসলাম। ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাভার সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা রায়হান মাহবুব। সাভার পৌরবাসীকে ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ছাত্রদল নেতা আরমান হোসেন বাবু ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানালেন সাভার সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা আহমেদ ফয়সাল। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানালেন ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদল নেতা সুজন শিকদার। ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানালেন সাভার পৌর ছাত্রদল নেতা তাজ খান নাইম। স্বৈরাচার হাসিনা শহীদ জিয়ার নাম পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিলেও জনগণের হৃদয় থেকে মুছতে ব্যর্থ হয়েছে : তমিজ আশুলিয়া রিপোর্টার্স ইউনিটি গঠিত:সভাপতি সৌরভ ও সম্পাদক সাকিব। সাভারে মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত।

কেই এই নতুন পাপিয়া ক্ষ্যাতি সালমা আক্তার,কোথায় তার আয়ের উৎস।

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪
  • ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে

সাভারের আশুলিয়া থানাধীন গাজীরচট এলাকায় একজন সুনামধন্য পুলিশ কর্মকর্তার যে এখন সাভার মডেল থানা কর্মরত নিয়োজিত,কথিত স্ত্রী পরিচয়ে এক নারীর আধিপত্য বিস্তার ও দাপটের প্রভাবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।বিয়ে বানিজ্য তিনি এলাকায় জনপ্রতিনিধি হওয়ার চেস্টায় আধিপত্য বিস্তারের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও জানান এলাকাবাসী।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ভূক্তোভোগি জানান, অভিযুক্ত সালমা আক্তার(৪৫)মধ্যে গাজীরচট এলাকার পোশাক কারখানায় একজন পিকআপ ড্রাইভার মোঃ শাহাজান মিয়ার মেয়ে।তার নিজের আয়ের উৎস না থাকলেও,কয়েক ডজন বিবাহের মধ্যে দিয়ে সে কোটিপতি বনে যায়।আশুলিয়ার গাজিরচট,ডিওএসএস ও ঢাকার শান্তিবাগ এলাকায় বেশ কয়েকটি আলিশান ফ্লাট বাড়ির মালিকসহ বিপুল বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছেন তিনি। গত দুই যুগ আগে কাঠগড়া এলাকায় মোঃ হান্নানের সাথে বিবাহ হয় সালমার,সে ঘরে দুইটি সন্তান থাকা অবস্থায় মানান অপকর্মের সাথে জরিতর প্রমান পাওয়ায় স্বামীকে তালাক দেয়।কিছুদিন যেয়ে না যেয়ে এরপর ধামরাই এলাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করে সালমা আক্তার।কিছুকাল পরে সে ঘরে এক মেয়ে থাকা অবস্থায় তাকে তালাক দিয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মনিরকে বিয়ে করে।এর কিছুকাল পরে কাতার প্রবাসী ওবায়দুর রহমানকে বিয়ে করে সালমা।এছাড়াও ভিডিও কলের মাধ্যমেও তার বিরুদ্ধে একাধিক বিবাহসহ ব্ল্যাক মেইল করে টাকা আত্বসাত করারও অভিযোগ রয়েছে সালমা আক্তারের বিরুদ্ধে।বিগত সকল স্বামী তালাকের সাথে সাথে তাদের অর্থ সম্পদ,জমি-ফ্লাট প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় সালমা এবং তার হাতে আসে বিশাল পরিমান সম্পদ ও কালো টাকার পাহাড়। তার কিছুকাল পর এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বিয়ের দাবি করে সালমা,মূলত এর পর থেকেই সে ক্ষমতার লোভে বেপরোয়া হয়ে উঠে এলাকায়।তার রাজনৈতিক কোনও পদ পদবী না থাকলেও, কালো টাকার গরমে সে এখন জনপ্রতিনিধি হওয়ার নেশায় বড় বড় রাজনৈতিক ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের ছবি ও পরিচয় ব্যবহার করতে দেখা যায়।সালমা আক্তার জীবনভর বিয়ে বানিজ্য জড়িত ছিলো।যার জনপ্রিয়তা শুন্যের কোঠায়।সে বর্তমানে ধামসমা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ার নেশায় নিজেকে ব্যাস্ত রেখেছেন, শুধু তা-ই নয় কালো টাকার পাহার ডাকতে নাম মাত্র দানের মাধ্যমে নিজেকে সৎ ও মানবতার ফেরিওয়া হিসেবে জনগণের কাছে পরিচিতি লাভ করতে চায় এবং নিজের আধিপত্য বিস্তারের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তাতে এলাকার ত্যাগী সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।এ ধরনের ব্যক্তিরা যদি জনপ্রতিনিধি হয় তাহলে সমাজের চিত্র কি হতে পারে তা অকল্পনীয় বলে মন্তব্য প্রকাশ করেন ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের এলাকাবাসী।স্থানীয় সুত্র থেকে আরও জানা যায়,সালমা আক্তার ওই পুলিশ কর্মকর্তার প্রভাব খাটিয়ে একের পর এক আধিপত্য বিস্তার,প্রতিবেশীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে এলাকার মানুষদের হয়রানীর মাধ্যমে জিম্মি করতে চাইছে।এক কথায় সে রাম রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে এসব ঘটনায় এলাকার মানুষেরা সরাসরি তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না।ভূক্তভোগিরা ঐ ভয়ংকর নারীর কবল থেকে দেশ এবং সমাজকে বাচাঁতে প্রশাসন ও দূর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।তারা মনে করেন
দূর্নীতি দমন কমিশনের(দূদক)সঠিকভাবে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল,সেইসাথে দেশবাসী জানতে পারবে আশুলিয়ার পাপিয়া খ্যাত সালমার অঢেল সম্পদের উৎস কোথা থেকে আসলো।তারা আরও অভিযোগ করেন,সালমা আক্তার গং ক্ষমতার দাম্ভিকতায় দীর্ঘদিন যাবৎ আমার সাথে শত্রুতা সৃষ্টির পায়তারা করে আসছে।সালমা আক্তার বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার হীন মানসিকতায় আমার নামে আপত্তিকর কথাবার্তা পোস্ট দিয়ে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে।তাতে করে আমি বিব্রতবোধ সহ নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।গত(৪ইমার্চ২০২৪ইং)তারিখ বিকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালমা আক্তাত এবং আমার স্ত্রী সন্তানদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।তখন সালমা আক্তার ও তার লোকজন গালি-গালাজসহ আমার পরিবারের সাথে মারমুখী আচরণ করে।সেইসাথে ফোন করে তার সমর্থকদের জড়ো করে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।এরপর তাহারা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা করে জেল খাটাবে এবং আমাদের দেখে নিবে বলে হুমকি প্রধান করে।তার সাথে কতিপয় বখাটে,সন্ত্রাসীদের সাথে সক্ষতা রয়েছে,সালমা আক্তার গং খুব খারাপ প্রকৃতির মানুষ।সালমা নিজের কু-স্বার্থ চরিতার্থ করতে যা খুশি তাই করতে পারে।আমি আতংকিত হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।এ বিষয়ে অভিযুক্ত সালমা আক্তার তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,যেহেতু আমি একজন সুনামধন্য পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী,সে কারনে আমার সমাজের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা আছে।আমার বিরুদ্ধে যাহারা অভিযোগ করেছে তারাই এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করে।মটরবাইকে বিকট শব্দের সাইলেন্সার লাগিয়ে মানুষকে ভয় দেখায়,শব্দ দূষণে পরিবেশ নষ্ট করে।আমি কাউকে হুমকি বা ভয়ভীতি এবং অযথা হয়রানি করেছি,পুলিশের প্রভাব খাটিয়েছি এ অভিযোগও ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি।যারা সমাজে অন্যায় করছে আমি তার প্রতিবাদ করছি।গত(৬ইমার্চ২০২৪ইং)তারিখে আমি এদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি।এলাকাবাসীর আমার প্রতি আস্থা রয়েছে।কিছু স্বার্থম্বেষী মহল তারা সুবিধা করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।এদিকে আশুলিয়ার পাপিয়া খ্যাত সালমার ক্ষমতার উৎস কথিত স্বামী সেই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ এলাকায় আমার কোন স্ত্রী নেই,ওই নারী আপনাদের মিথ্যা কথা বলেছে।কেউ যদি কারো নাম ব্যবহার করে অপরাধ করে,তবে সে নিজেই অপরাধী।ফেইসবুকে আপনাকে স্বামী দাবি করে পোস্ট দিয়েছে এটি সাইবার আইনে মধ্যে পরেনা,এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমি এসব দেখিওনা শুনিওনা।দয়াকরে আমাকে এইসবের ভিতরে টানবেন না।সে অপরাধ করলে আপনারা তার বিরুদ্ধে লেখালেখি করেন।আমার সাথে তার কোনও সম্পর্ক নাই ফলে তার দ্বায়িত্ব আমি নিব না।অপরাধ যে করবে তার দ্বায়ভার সে নিবে,আইন আইনের গতিতে চলবে বলে জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং