গত কয়েকদিনের তুলনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজধানীর গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলো।পবিত্র ঈদ কে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি যাওয়া যাত্রীদের চাপ বেড়েছে অনেকটাই।মঙ্গলবার(০৯ই এপ্রিল ২০২৪ইং)সকালে গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়,পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে এই টার্মিনাল থেকে বাড়ির পথ ধরছেন অনেকে।কেউ একা,কেউ পরিবার নিয়ে আবার অনেকে বন্ধুদের সঙ্গে ছারছেন ঢাকা শহর।এই টার্মিনাল থেকে সাধারণত উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ বঙ্গের যাত্রীরাই বেশি চলাচল করেন।এবার সরকারি ছুটি ১০দিন থাকায় সরকারি চাকরিজীবীদের অতিরিক্ত ছুটি নিয়ে ঢাকা ছাড়ছেন।এছাড়াও বেশিরভাগ গার্মেন্টস ও বেসরকারি অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গতকাল সোমবার(৮ই এপ্রিল ২০২৪ইং)গাবতলী বাস টার্মিনাল ও বাস কাউন্টারগুলোতে বেড়েছে যাত্রীর চাপ।বেসরকারি চাকরিজীবীদের অনেকে আবার সকালে অফিসে হাজিরা দিয়েই বেরিয়ে পড়ছেন বাড়ির উদ্দেশ্যে।এর ফলে গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে যাত্রীর চাপ বেড়েছে।কাউন্টার তথ্যসূত্র থেকে পাওয়া যায়,গত কয়েকদিনের তুলনায় গতকাল ও আজ যাত্রীর চাপ অনেকটাই বেশী।প্রায় সব পরিবহনের গাড়িই আসন পূরণ করে কাউন্টার ছাড়তে হচ্ছে।কিছু কিছু বাসের আগামী দুই দিনের কোনো আসনই খালি নেই।প্রায়ই দূরপাল্লার গাড়িগুলোও ছেড়ে যাচ্ছে নির্দিষ্ট সময়েই মধ্যে।
এদিকে কিছু কিছু যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া অভিযোগ করলেও এবার তেমন একটা ভোগান্তি নেই যাত্রা পথে।এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে প্রতিটি টার্মিনালে র্যাব,পুলিশের পাশাপাশি বিআরটিএ এর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।এছাড়াও ঢাকা-বরিশাল রুটে গতকাল দুপুর থেকেই যাত্রীর চাপ ভালো।আমাদের সব গাড়ির টিকেট আগেই বিক্রি হয়ে গেছে।মানুষ টিকেটের জন্য কাউন্টারে আসছেন।কিন্তু কোনো টিকেট তাদের দিতে পারছি না।আজ সকাল থেকে ১১ঘটিকার পর্যন্ত বরিশালের উদ্দেশ্যে আমাদের আটটি বাস ছেড়ে গেছে।এদিকে ঢাকা-খুলনা রুটে যাত্রীসেবা দেওয়া হানিফ পরিবহনের,যাত্রীর চাপ গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ বেশি।তবে পদ্ম সেতু হওয়ার আগে গাবতলীতে যাত্রীদের যে চাপ থাকতো,সেই তুলনায় অর্ধেকও নেই।উত্তরবঙ্গে যাত্রীসেবা দেওয়া শ্যামলী পরিবহন রাস্তায় যানজটের কারণে বাস ফিরতে কিছুটা বিলম্ব করছে।তবে প্রায় নির্দিষ্ট সময়েই সবগুলো গাড়ি টার্মিনাল ছাড়ছে।আজ যাত্রীর চাপ ভালো।আগামীকাল আরও বাড়তে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।