বাগেরহাটের মোল্লাহাটে চাঞ্চল্যকর সাড়ে তিন বছর বয়সী শিশু আহসান উদ্দিন বিশ্বাস হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গত রোববার(৭ই এপ্রিল ২০২৪ইং)গভীর রাতে উপজেলার কচুড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা মোল্লাহাট উপজেলার কচুড়িয়া গ্রামের মোঃ আসাদ শেখের ছেলে মোঃ আকবর শেখ(২৫)মোঃ আফজাল শেখের ছেলে হিজবুল্লাহ শেখ (২৬)প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন।জমি সংক্রান্ত ও পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয়।গত সোমবার(৮ই এপ্রিল২০২৪ইং)দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাগেরহাট পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান।এদিকে সাড়ে তিন বছরের শিশুর আহসান উদ্দিন বিশ্বাস সঙ্গে এ কেমন নির্মমতা।এলাকাবাসীর তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়,গত শুক্রবার(৫ই এপ্রিল ২০২৪ইং)বিকেলে মোল্লাহাট উপজেলার কচুড়িয়া গ্রামে নানা ফিরোজ আহমেদের বাড়ি থেকে আম কুড়াতে বের নিহত শিশু আহসান উদ্দিন বিশ্বাস পরে তাকে খোজাখুজি করে না পেয়ে ওই দিন রাতেই শিশুটির বাবা কামরুজ্জামান বিশ্বাস বাদী হয়ে বাগেরহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।পর দিন শনিবার(৬ই এপ্রিল২০২৪ইং)দুপুরে কচুড়িয়া এলাকার দাউদের পানের বরাজের পাশ থেকে পলিথিন ও মেডিক্যাল সার্জিক্যাল টেপ দিয়ে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই শিশুর মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী।পরে স্থানীয় লোকজন বাগেরহাট থানায় ফোন দিলে ঘটনাস্থল থেকে শিশু আহসান উদ্দিন বিশ্বাসের মৃতদেহ উদ্ধার করেন মোল্লাহাট থানার পুলিশ।পরে রোববার শিশুটির বাবা বাদী হয়ে কয়েকজকে আসামী করে মোল্লাহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এবিষয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানের কাছে প্রশ্ন করলে তিনি গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন,গত শুক্রবার(৫ই এপ্রিল২০২৪ইং)তারিখে নিহত আহসান উদ্দিন বিশ্বাসের বাবা শিশুটিকে না পেয়ে মোল্লাহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার পর থেকে শিশুটিকে উদ্ধারে পুলিশ তৎপর ছিল।এক দিন পরে আমরা এলাকাবসীর সহায়তায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হই।পরে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে কয়েজনেক নাম উল্লেখ্য করে একটা হত্যা মামলা দায়ের করেন।তিনি আরো বলেন,মামলার দুই আসামিকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।এছাড়াও এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।তাছাড়া জমিজমা সংক্রান্ত ও পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।এছাড়াও খুব শিগগিরই এই হত্যার বিষয়ে সকল তথ্য উদঘাটন করে জানানো হবে বলে জানান তিনি।