নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকাঃ
ঢাকার সাভার উপজেলার চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব ও তার ছোট ভাই হেমায়েতপুর তেতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমরের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের তদন্ত চেয়ে করা আবেদনটি স্বেচ্ছাধীন আইনানুগভাবে নিষ্পত্তি করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।সোমবার(২২শে এপ্রিল ২০২৪ইং)তারিখে হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোঃ কাজী ইবাদত হোসাইনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ প্রধান করেন।হাইকোর্ট রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোঃ জামিউল হক ফয়সাল।রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। মদুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুন নেছা রত্না।এই রিটের বিষয় অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল বলেন,আদালত দ্রুত সময়ের মধ্যে আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে বলেছেন দুদককে,সেটা স্বেচ্ছাধীনভাবেই করতে বলেছেন।এছাড়া তদন্ত করে যদি সত্যতা মেলে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত।মআর অগ্রগতি জানাতে বলেছেন। অগ্রগতি না হলে আবার প্রেয়ার দিতে বলেছেন তখন রুলসহ আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন,সাভারের ঘটনায় দুদক বলেছে,যেহেতু আবেদনটি করা হয়েছে প্রায়ই ১ মাস আগে।তাই দুদক একটি সময় দিলে তারা ব্যবস্থা গ্রহন করবে।তাছাড়া আদালত স্বেচ্ছাধীন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এখানে দুদক যদি মনে করে তাহলে তদন্ত করবে বলে জানা যায়।তবে এর আগে সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব ও তার ছোট ভাই ফখরুল আলম সমরের অবৈধভাবে অর্জিত বিপুল পরিমান সম্পদ ও বাড়ি গাড়ি নিয়ে গত(৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং)জাতীয় দৈনিক মানবজমিন সহ বিভিন্ন পত্রিকায় স সংবাদ প্রকাশ হওয়াতে।ওই প্রতিবেদনে দুই ভাইয়ের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের নানাভানে তথ্য প্রধান করা হয়।এছাড়া সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হওয়া হলমার্ক গ্রুপের বিপুল পরিমান সম্পদ বিক্রি করে দেয়ার তথ্য প্রকাশ করা হয়।এবং চেয়ারম্যান হওয়ার পরে সাভারে ১৩টি হত্যায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দুই ভাইয়ের জড়িত থাকার তথ্য তুলে ধরা হয়। পরে ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে সাভার বগাবাড়ি এলাকার মোঃ সজিব হোসেন নামের এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক),ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।অভিযোগে অল্প সময়ে দুই সহোদর কীভাবে ২ হাজার কোটি টাকার মালিক হলেন সে বিষয়ে তদন্ত করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়। পরে ব্যবস্থা না নেয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে তিনি হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন।ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন বলে জানা যায়।