ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় রাতভর বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।অন্যদিকে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়,রাফায় ইসরায়েলের এ হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।তবে ইসরায়েল এই প্রস্তাবের শর্তগুলো তাদের দাবি মত হয়নি বলে মন্তব্য প্রকাশ করেছেন।তাদের দাবী এই চুক্তির বিষয়ে আরও আলোচনা চালিয়ে যাবে এবং পাশাপাশি রাফায় হামলার পরিকল্পনা ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন,হামাস যে প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে তা মিসরীয় প্রস্তাবের চেয়ে খুবই দুর্বল এবং এতে এমন কিছু উপাদান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা ইসরায়েল গ্রহণ করতে পারে না।এদিকে ইসরায়েলকে চুক্তি প্রত্যাখ্যানকারী হিসেবে দেখানোর উদ্দেশ্যে এই প্রস্তাবটি একটি অন্যপন্থায় চালানোর চেষ্টা করছে বলে মনে করেন হামাস।এছাড়া ইসরায়েল বলেছে,কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিংয়ে হামাসের রকেট হামলায় ৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর তারা রাফায় হামলার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে,যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা রাফায় অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে।খবর রয়টার্স হামাসের রকেট হামলার পর পর কেরাম শালোম ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল।খাদ্যসামগ্রী ও অন্যান্য সহায়তা নিয়ে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রবেশের জন্য ওই ক্রসিংটি ছিল অন্যতম প্রধান সড়ক।এদিকে অ্যাসোসিয়েট প্রেসের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে গত রাতে রাফায় ইসরায়েলি হামলায় ১২ জনেরও অধিক নিহত হয়েছে।এর আগে সোমবার(৬ই মে ২০২৪ইং)ইসরায়েলি বাহিনী রাফায় আক্রমণ চালায় এবং শহরের কিছু অংশ থেকে বাসিন্দাদের ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।মূলত গাজার এই শহরটি এখন ১৪ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল হিসাবে পরিচিত।গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৭৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ ফিলিস্তিনি নাগরিক।