সাভার প্রতিনিধি।
সাভারে বাড্ডা ভাটপারা এলাকায় অনুমোদনহীণ আল মদিনা সিটি নামক লগো ব্যাবহার করে বাজার থেকে খোলা তেলের সাথে বিষাক্ত ক্যামিকেলের মিশ্রনে তৈরী ভেজাল সয়াবিন তেল বাজারে বিক্রি করছেন একটি চক্র।তবে ওই আল মদিনা সিটি নামের এই ব্র্যান্ডের কোন অনুমোদনও নেই বলে জানা যায়।সাভার পৌর এলাকার বাড্ডা ভাটপাড়া মহল্লায় এক প্রবাসির টিনসেট ৫/৬ মাস আগে বাড়ি ভাড়া নিয়ে খোলা ও ভেজাল তেলের ব্যারেল থেকে মোটর পাম্পের মাধ্যমে তেল বোতলজাত করে’আল মদিনা সিটি’লগো লাগিয়ে রাতের আধারে বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়িদের কাছে কম দামে সরবরাহ করছে ইলিয়াস আহমেদ ও তার মামাত ভাই জনি।এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,এই চক্রটি বাইরে খোলা বাজার থেকে সয়াবিন সংগ্রহ করে রান্নার প্রধান উপকরণ ভোজ্যতেলে পাম অয়েল ও বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশ্রনে ভেজাল অস্বাস্থ্যকর উপাদান মিশিয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বড় ড্রামে সংরক্ষণ করে থাকেন।পরে ওই বড় ড্রাম থেকে ৩,২,
১ লিটার ও ৫০০ এমএল প্লাস্টিকের বোতলে ঢেলে বোতলের গায়ে আল মদিনা সিটি লেবেল লাগিয়ে বাজারজাত করছেন এই চক্রটি।আবার কিছু কিছু লেবেলে বিএসটিআইয়ের লগো রয়েছে যার কোনো অনুমোদন নেই।আর এসব তেলে তৈরি খাদ্য আহারে নানা রোগ-ব্যাধিসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পাশাপাশি দুটি টিনসেড ঘরের একটি মাত্র মূল গেইট যেটি ভিতর থেকে তালাবন্ধ রয়েছে।ভিতরে শ্রমিকরা তৈল বোতলজাত করছে।গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় দেয়ার পরও কেউ গেইট খোলেনি।তবে এই প্রতিবেদকের সাথে গোপনে কথা হয় ভেজাল তেল তৈরীর কারখানার এক কর্মচারীর সাথে। তিনি বলেন,এই কারখানার মালিক ইলিয়াস আহমেদ ও জনি।তার বাড়ি ধামরাই এলাকায় কিন্তু তিনি থাকেন ভাটপাড়া মহল্লায়।ওই বাড়ির আশপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে,প্রশাসনের চোখ ফাঁকি তারা বিভিন্ন ভেজাল উপাদান দিয়ে সয়াবিন তেল তৈরি করে থাকেন এছাড়াও কেও এবিষয়ে কথা বললে পরতে হয় না হুমকির মুখে,এছাড়াও বোতলজাত আল মদিনা সিটি অনুমোদনহীন লগো লাগিয়ে ধামরাই হেমায়েতপুর,বলিয়াপুর ও আমিনবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে গোপনে বিক্রি করে থাকেন।এমনকি এই প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করার মতো কোনো সাইনবোর্ডও নেই।প্রবাসির ওই বাড়ির কেয়ারটেকার মোহাম্মদ আলীর কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন,৫/৬ মাস আগে ইলিয়াস আহমেদ ও তারই মামাত ভাই মোঃ জনি মিলে বাসাটি তেলের কারখানা করার জন্য মাসিক ১৮ হাজার টাকায় ভাড়া নেন।তবে এই কারখানায় কোন অনুমোদন আছে কিনা অথবা ভেজাল নাকি আসল তেল তৈরী হয় তাও তিনি জানেন না।তিনি বলেন,এরকম সাভারে অনেক অবৈধ কারখানা আছে যা প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে ব্যাবস্যা চালিয়ে যাচ্ছে।এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি(১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর)রমজান আহমেদের কাছে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,এখানে কবে কে বা কারা এই ভেজাল তেলের ভজ্য তেলের কারখানা করেছেন এখোনও বিষয়টি আমার জানা নেই।তবে আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে আপনাকে অবহিত করবো।এ বিষয়ে ভেজাল সয়াবিন তৈরীর মূলহুতা ইলিয়াস আহমেদের সাথে যোগাযোগের জন্য তার মুঠফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।খুদে বার্তা পাঠালেও জবাব দেননি।তবে পরে তিনি ফোন করে তার কারখানার যে অনুমোদন নেই তা স্বীকার করেন।তিনি বলেন,তার সাথে জনি নামে আরেকজন পার্টনার রয়েছে।কারখানাটি নতুন শুরু করেছি। ভেজাল তেলের বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেন।একপর্যায়ে এই প্রতিবেদকের সাথে দেখা করে তাকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করারও চেষ্টা করেন ইলিয়াস আহাম্মেদ ও জনি।