তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাবনার চাটমোহরে যমজ দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আলিফ ইয়ামান পায়েল(২৪)।তিনি চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি পদে দ্বায়িত্ব।এদিকে আহত যমজ দুই বোন হলেন মিম আক্তার(২১) ও লাম(২১)।আহত যমজ দুই বোন চাটমোহর পৌর সদরের রেজাউল করিম রিজুর মেয়ে।এছাড়া অভিযুক্ত হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলামের ছেলে আলিফ ইয়ামান পায়েল(২৪)।তবে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা মোঃ রেজাউল করিম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।এ লিখিত অভিযোগে উল্লেখ আছে যে,ঘটনার সময় বাড়ির পাশে কদম গাছের ডাল কাটছিলেন ছাত্রলীগ নেতা আলিফ ইমিরান পায়েল(২৪),এ সময় প্রতিবেশী রেজাউল করিমের মেয়ে লাম(২১)তাকে গিয়ে বলে গাছ কাটার সময় তাদের কলা গাছ যেন নষ্ট না হয়।তুচ্ছ এক কথা বলাতে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে,ছাত্রলীগ নেতা আলিফ অলিমরান পায়েল(২৪)হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে লামকে আঘাত করলে এতে গুরুতর আহত হোন তিনি।এ সময় তার যমজ আরেক বোন মিম এগিয়ে আসলে তাকেও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে তিনিও আহত করা হোন।পরে ছাত্রলীগ নেতা আলিফ ইমরান পায়েল(২৪) ও তার বাবা-মা মিলিয়ে সংঘবদ্ধভাবে লাঠি দিয়ে যমজ দুই বোনকে বেধড়ক মারধর করে বলে এ অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।পরে আহত ডাক চিৎকার ও চেঁচামেচি শুনে পরিবারসহ ও এলাকাবাসীর এসে ঘটনাস্থল থেকে গুরুত আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)সেলিম রেজা কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ছাত্রলীগকতৃক হামলার ঘটনা আমরা অভিযোগ পেয়েছি।তবে ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।এদিকে হামলার বিষয়ে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান সবুজ কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি এখোনও বিষয়টি জানিনা।হ্যা যদি এমন নেক্কারজনক ঘটনা ঘটে থাকলে অথবা অভিযোগের সত্যতা পেলেই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।এদিকে হামলাকারী অভিযুক্ত চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলিফ ইয়ামান পায়েল ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার মায়ের সাথে ওরা দুই বোন মারামারি করেছে।আমি সেখানে ঠেকাতে গিয়েছিলাম।কিন্তু আমি তাদেরকে কোনো প্রাকার আঘাত করিনি।আমাকে ফাঁসানোর জন্যেই এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে তারা।