ঢাকার সাভার আমিনবাজার আদালতের রায় অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠে আমিনবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রকিব আহাম্মেদ ও তার দলবল ও বহিরাগত সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে।এছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়ির দেওয়াল ভেঙে দেওয়াসহ তার পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে পরিবারের অন্তত ৪ জনকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।ঘটনাটি সাভার মডেল থানাধীন আমিনবাজার ইউনিয়নের বেগুনবাড়ি এলাকায় এ ঘটে।হামলায় শিকার ভুক্তভোগী ব্যাংক কর্মকর্তা বশির আহমেদ আমিনবাজার দেওয়ানবাড়ি মহল্লার মৃত তোফায়েল উদ্দিনের ছেলে।অপর আহতরা হলেন,তার স্ত্রী জোহরা খাতুন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে মোঃ জহুর আহমেদ ও ভাতিজি একরামুন্নেছা।সাভার মডেল থানার লিখিত অভিযোগের তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়,সাভারের আমিনবাজার ইউনিয়নের বেগুনবাড়ি মৌজার আর.এস খতিয়ান ১১৩ এবং আর.এস দাগ ১৫৫,জমির পরিমাণ ৩৩ শতাংশ পৈত্রিক সূত্রে মালিক হয়ে সীমানা নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন ব্যাংক কর্মকর্তা বশির আহমেদ ও তার পরিবার।বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবেশী সারোয়ার হোসেন টুটুল(৪৫),মোঃ রাজিব(৩৪),মোঃ এরশাদ(৪২)জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর ভাঙচুরের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।গত(১৭ই মে ২০২৪ইং)আনুমানিক দুপুরের দিকে তারা বহিরাগত বেশকিছু সন্ত্রাসী এনে ব্যাংক কর্মকর্তা বশির আহমেদের বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করেন।এসময় বাঁধা দিতে গেলে ব্যাংক কর্মকর্তা বশির আহমেদ এর উপর হামলা চলাকালীন সময় তার ডাক চিৎকারের আওয়াজ শুনে তাকে বাচাতে ঘর থেকে বের হয় স্ত্রী,ছেলে ও ভাতিজি।পরে তাদের উপরও হামলা করেন আমিনবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রকিব আহাম্মেদের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা,এতে আহত হন ব্যাংক কর্মকর্তা বশির আহাম্মেদ সহ তার পরিবারের অন্তত ৪ জন।এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ব্যাংক কর্মকর্তা বশির আহমেদের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমিনবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রকিব আহমেদের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোকজন দা-কোদাল বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসহ আমার বাড়িতে প্রবেশ করে ১৫ বছর আগে গ্রাম আদালতের রায়ে নির্মিত সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করে।এসময় আমিসহ পরিবারের লোকজন বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা সবাইকে মারধর করে আটকে রাখে।একজন ইউপি চেয়ারম্যান কীভাবে গ্রাম আদালতের রায় অমান্য করে আমার চলাচলের রাস্তা খুলে না দিয়ে উল্টো বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করল,আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই বলে জানান তিনি।এবিষয়ে অভিযুক্ত আমিনবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রকিব আহম্মেদের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আগে আদালত যে রায় দিয়েছিল সেটা কীসের ভিত্তিতে দিয়েছে আমি তা জানি না।এটা আমার কাছে সঠিক মনে হচ্ছে না।বর্তমানে দুপক্ষের মধ্যে চলাচলের রাস্তা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে আমার কাছে আসলে আমি এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মতামতের ভিত্তিতে প্রাচীরটি ভেঙে দিয়েছি।এদিকে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)রাহুল চন্দ্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই কিংবা কেও জানাইওনি।তবে এটি নিয়ে যদি আমাদের কাছে ভুক্তভোগীর কেও কোনো লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধমে আইনি সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।