সাভারের দুধর্ষ কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান গ্যাং লিডার মেহেদী হাসান ইমন ওরফে গিয়ার ইমনকে আটক করেছেন র‍্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন(র‍্যাব-৪)এর একটি চৌকস দল।শুক্রবার(৭ই জুন ২০২৪ইং)আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন(র‍্যাব-৪),সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান।এর আগে রাতে র‍্যাব-৪ ও র‍্যাব-১৪ এর একটি যৌথ টিম জামালপুর সদর উপজেলার নুরুন্দী এলাকা থেকে তাকে আটক করেন বলে জানান তিনি।র‍্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান আরো বলেন,গত(২৮শে মার্চ ২০২৪ইং)সাভারের ছায়াবিথি আমতলা মোড় এলাকায় শহিদুল ইসলাম(২৫)নামক এক দন্ত চিকিৎসকের সহকারীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা।পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাজে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এছাড়াও তিনি আরও জানান,গত(১১ই মার্চ ২০২৪ইং)সাভার বাজার রোডের একটি মার্কেটের পেছনে পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গায় সোহেল মোল্লা(২৮)নামে এক কাঠ মিস্ত্রিকে হত্যার ঘটনা ঘটে।এছাড়াও উপজেলার সোবহানবাগ এলাকায় মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমজাদ হোসেন(৩৪)নামে অপর এক ব্যক্তিকেও হত্যার ঘটনা ঘটে।এসব ঘটনায় জড়িত ছিল আসামি মেহেদী হাসান ইমন ওরফে গিয়ার ইমন।এছাড়া গত(২৮শে মার্চ ২০২৪ইং)মাদক সেবনের টাকা জোগাড় করতে পথচারী শহিদুল ইসলামকে জিম্মি করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন ইমন ওরফে গিয়ার ইমন ও তার সহযোগী নুর আলম। এতে অস্বীকৃতি জানালে ধারালো সুইচ গিয়ার শহিদুলের পেটে ঢুকিয়ে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।এসব পৃথক ঘটনায় দায়েরকৃত কয়েকটি মামলায় পলাতক ছিল আসামি মেহেদী হাসান ইমন ওরফে গিয়ার ইমন।এবিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)শাহজামান বলেন,দুপুরে আসামি ইমন'কে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।থানায় তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলাসহ একাধিক ছিনতাই,মারামারি ও মাদকের মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।