রাজধানীর গুলশানে বাকবিতণ্ডার জেরে পুলিশের গুলিতে পুলিশেরই এক কনস্টেবল নিহত হয়েছেন।এ ঘটনায় একজন পথচারীও গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানা যায়।(৮ই জুন ২০২৪ইং)শনিবার রাত আনুমানিক সারে ১২ঘটিকার দিকে গুলশান ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।গুলিবিদ্ধ নিহত কনেস্টবল মনিরুল ইসলাম।এ ঘটনার বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মাজহারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,গুলসান ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনের যে ঘটনা ঘটেছে সেইটা অত্যন্ত দুঃক্ষজনক ও নিন্দানীয় ঘটনা,আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি, ‘সম্ভবত মানসিক সমস্যার কারণে আমাদের এক কনস্টেবল কাওসার আহাম্মেদ আরেক কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম’কে বাকবিতন্ডার জেরে গুলি করেছে।এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন পথচারী আহত হয়েছে বলে শুনেছি।এছাড়াও আশেপাশের চলাচলরত লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।এদিকে এঘটনার বিষয়ে গুলসান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)আরও জানান,প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে,গুলি নিক্ষেপকারী পুলিশ সদস্য মানসিক বিকারগ্রস্ত।তাছাড়া জানা যায়,এ ঘটনার কিছুক্ষণ আগে গুলসান ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে ডিউটি চলারত কনস্টেবল কাওসার আহাম্মেদ ও কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম।সে-ই জেরেই এক পর্যায়ে নিজের সঙ্গে থাকা পিস্তল বের করে মনিরুল ইসলাম’কে গুলি করেন কাওসার।এ ঘটনার বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিসি)রিফাত রহমান শামীমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,গুলশান কূটনৈতিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে একজন পুলিশ সদস্য। আমরা এমন খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।এছাড়া সেখানে ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটিসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়েছে।তিনি আরও বলেন, কে বা কারা এজন্য দায়ী তা এখনো জানা যায় নি।তবে এ ঘটনা বিশেষভাবে তদন্ত করে বিষয়টি পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।এ ঘটনার পর পর পুলিশের গুলশান বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।হ্যান্ডমাইকের মাধ্যমে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে আত্মসমর্পণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।একই সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গেছে।