রাজধানীর গুলসান এলাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে গত শনিবার(৮ই জুন ২০২৪ইং)রাতে কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশ সদস্য কাওসার আলীর এলোপাতারি গুলিতে পুলিশ কনেস্টবল মনিরুল ইসলাম(২৮)নিহত হয়।এ খবর মনিরুলের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় পরিবারের মাঝে এক শোকের ছায়া নেমে আসে।পরিবারসহ স্বজনদের মধ্যে শুরু হয় আহাজারি।গত রোববার(০৯ই জুন ২০২৪ইং)রাত ৩ ঘটিকার দিকে গ্রামের বাড়িতে মনিরুল ইসলামের মৃতদেহ এসে পৌঁছে।এ সময় স্বজনদের বুকফাটা কান্নায় যেন আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। নিহত কনেস্টবল মনিরুল ইসলাম(২৮)মরদেহ দেখতে ছুটে আসেন আশপাশের এলাকাসহ দূর-দূরান্তের হাজারো মানুষ।সোমবার(১০ই জুন ২০২৪ইং) সকাল সারে ১০ ঘটিকায় বিষ্ণুপুর গ্রামে মনিরুলের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।জানাজায় অংশ নিতে আসেন আশেপাশের দুর দুরন্ত থেকে আসা মুসল্লিগন।জানাজায় অংশ নেওয়া লোকজন নিহত মনিরুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার দাবি করেন এবং পরিবারটির দিকে সুদৃষ্টি রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।পরে জানাজা শেষে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে নিহত কনেস্টবল মনিরুল ইসলামের মৃতদেহ দাফন সম্পন্ন করা হয়।তবে এভাবে পুলিশ কনেস্টবল মনিরুল ইসলাম’কে হারানোর কষ্ট যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না তার পরিবার ও গ্রামবাসীরা।নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তারা।এদিকে,গত শনিবার(৮ই জুন ২০২৪ইং)রাত ১১ঘটিকার দিকে রাজধানীর গুলসান এলাকায় অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ কনস্টেবল কাওসার আলী দায়িত্বরত অপর কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম(২৮)’কে এলোপাতারি গুলি চালিয়ে হত্যা করেন সহকর্মী কাওসার আহমেদ।এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন এক পথচারীও।পরে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে কাওসারকে আটক করেন পুলিশ।এ ঘটনায় নিহত মনিরুল ইসলামের বড় ভাই কনস্টেবল মোঃ মাহবুব হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।পরে আদালতে পাঠানো হলে এ মামলায় পুলিশ কনেস্টবল কাওসার আহাম্মেদ’কে১০ দিনের রিমান্ড চাইলে তাকে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানা যায়।