ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানাধীন এলাকায় বাড়ির জায়গার সীমানা বিরোধের জের ধরে মোঃ সাইম(৯)নামক এক শিশুর জিভ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার প্রতিবেশী কাওসারের বিরুদ্ধে।শিশুটি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।তার জিভ ও ঠোঁটের ক্ষতস্থানে ৮-১০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।গত শুক্রবার(২১শে জুন ২০২৪ইং)ব্রাক্ষনবাড়ীয়ার নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।মোঃ সাইম(৯)নাটঘর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মোঃ মালেক মিয়ার ছেলে।এ বিষয়ে আহত শিশু মোঃ সায়েম(৯)'এর পরিবারের কাছ থেকে জানতে চাইলে আহত শিশুর পরিবার জানায়,পাশের বাড়ির কাউসার মিয়ার সঙ্গে বাড়ির জায়গার সীমানা নিয়ে এক বছর ধরে বিরোধ চলে আসছিল মোঃ মালেক মিয়ার পরিবারের।গত শুক্রবার(২১শে জুন ২০২৪ইং) সকালে কাউসার মিয়া বিরোধপূর্ণ জায়গার সীমানা খুঁটি তুলে আরেক জায়গায় বসিয়ে দেন।ঘটনাটি দেখে ফেলেন মোঃ মালেক মিয়ার ছেলে মোঃ সাইম(৯)।পরে সে বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার পরিবারের কাছে খুলে বলে।কিছুক্ষণ পর বিষয়টি জানতে পেরে সাইমকে খুঁজতে থাকেন হামলাকারী মোঃ কাউসার।এক পর্যায়ে সাইম বাড়ি থেকে বের হলে তার ওপর দা-ছুরি ও লাঠি-সোঁটা নিয়ে হামলা চালান কাউসার মিয়া ও তার সাথে থাকা লোকজন।সাইমকে বেদম পিটিয়ে এক পর্যায়ে তার জিভে ছুরি ঢুকিয়ে দেন তারা।তার ঠোঁটের কিছু অংশ কেটেও ফেলা হয়।এতে শিশুটি গুরুতর আহত হয়।পরে তাকে উদ্ধার করে ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এব্যাপারে আহত শিশু সাইমের মা পারভীন বেগম বলেন,আমার ছেলের জিভ ও ঠোঁট নৃশংসভাবে কেটে দেওয়া হয়েছে।এখন সে হাসপাতালে যন্ত্রণায় ছটফট করছে আমি মা হয়ে এটা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছিনা আমি এর সঠিক বিচার চাই সরকারের কাছে,তিনি আরো বলেন,তিন দিন ধরে তাকে কিছু খাওয়াতে পারছি না। এ ধরনের বর্বরতা মেনে নেওয়া যায় না।আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক রতন কুমার ঢালী বলেন,শিশুটির জিভ ও ঠোঁটে জখম হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।তার জিভে সাতটি সেলাই করা হয়েছে।চিকিৎসকরা তাকে যথাযথ চিকিৎসা দিচ্ছেন।তার অবস্থা উন্নতির দিকে।নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মাহবুব আলমের কাছে এই ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,শিশুটি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।লিখিত অভিযোগ হাতে পেলে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।