পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশে তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে।চলমান গ্রীষ্ম মৌসুমে এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।পরিবেশবিজ্ঞানীরা বলছেন,মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত মাস থেকেই এশিয়াজুড়ে চরম তাপমাত্রা বিরাজ করছে।এছাড়া দেশটির আতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে গত ছয়দিনে পাকিস্তানে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।যার মধ্যে একদিনেই প্রায় দেড়শো জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।দেশটির অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র করাচি শহরের তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে,সেখানে অনুভূত তাপমাত্রা প্রায় ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এদিকে পাকিস্তানের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সংস্থা বলছে,তারা করাচি শহরের মর্গে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০ থেকে ৬০ জনের লাশ নিয়ে যায়।তবে গত ছয় দিনে তারা প্রায় ৫৬৮ টি লাশ সংগ্রহ করেছে যার মধ্যে প্রত্যকেই হিটস্ট্রোক এর কারনে মৃত্যু হয়।গত মঙ্গলবারই তারা সংগ্রহ করেছে ১৫১টি লাশ।সিভিল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান ডা.ইমরান সারওয়ার শেখ সংবাদবাদ মাধ্যম’কে জানিয়েছেন,হাসপাতালটিতে গত রোববার থেকে বুধবারের মধ্যে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ২৬৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।তাছা মারা যাওয়া অধিকাংশের বয়স ৬০ বা ৭০ এর কোটায়। এদিকে উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে করাচির বাসিন্দারা কার্যত লড়াই করছে।শহরটিতে নিয়মিত লোডশেডিংয়ের ফলে নগরবাসীর জন্য পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ খারাপের পরিনত হচ্ছে বলে জানান তিনি।করাচি ছাড়াও গত মাসে পুরো সিন্ধ প্রদেশে প্রায় রেকর্ড ৫২.২ ডিগ্রি তাপমাত্রা আবহাওয়া অফিসে নথিভুক্ত করা হয়।এছাড়া পাকিস্তান ছাড়াও ভারতের রাজধানী দিল্লিতেও অতিমাত্রার তাপপ্রবাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।গত মে মাস থেকে সেখানে প্রায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে আবার কখনও কখনও তা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন,জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই ধরনের চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলো নিয়মিত এবং তীব্র হয়ে উঠছে।করাচির এই তীব্র তাপপ্রবাহ আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হবে বলে মনে করা হচ্ছে বলে জানান আবহাওয়া অফিস।