ঢাকার রাজধানীর উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে একটি ভবনের অংশীদারিত্ব বুঝে নিতে চাওয়ায় মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন অনন্ত ৪ জন।আহতরা হলেন সবুজ হাওলাদার,সোহেল হাওলাদার,মুরাদ ও আফজাল।আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক)হাসপাতাল ও রাজধানীর মোহাম্মদপুরস্থ বিডিএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার(২৭শে জুন ২০২৪ইং)সকালে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।এ ঘটনায় ওই দিনগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ভুক্তভোগী জিনাত রিজওয়ানা বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত মামলা দায়ের করেন।মামলার প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিম থানা পুলিশ।এবিষয় ভুক্তভোগী জিনাত রিজওয়ানা তার অভিযোগে জানান,পরিচয়ের সুবাদে উত্তরায় বেঙ্গল হোটেল অ্যান্ড হসপিটালিটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াহইয়া চৌধুরীর প্রতিষ্ঠানে দু-বছর আগে ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি।এদিকে ইয়াহইয়া তার নামে শেয়ার সার্টিফিকেট ইস্যু করেন।তবে চলতি বছরে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ইয়াহইয়া চৌধুরীর কাছে সর্বমোট বিনিয়োগের হিসাবসহ উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডের একটি ১০ তলা ভবনের অর্ধেকের অংশীদারিত্ব বুঝে নিতে চাইলে ইয়াহইয়া ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দেন। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে ওই ভবনে থাকা সবুজ হাওলাদার,সোহেল হাওলাদার ও মুরাদকে মারধর করে আহত করা হয়।তিনি জানান,হামলার সময় ইয়াহিয়ার সঙ্গে জনি মিয়া,কাজীরবিন,আনোয়ার,ফরহাদ হোসেন, মোঃ সাহেদ ও রাজিব নামের ব্যক্তিসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন ছিলেন।খবর পেয়ে রিজওয়ানা তার গাড়িচালক আফজাল ও ভাই খন্দাকার শোয়েব আরিয়ান অঙ্কনকে নিয়ে ওই ভবনে যান।তখন তারা অঙ্কনকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চালককেও মারধর করেন।ওই ঘটনার পর থেকে রিজওয়ানা ও তার পরিবার আতঙ্কে রয়েছেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)বিএম ফরমান আলী বলেন,এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় মামলার এজহারনামীয় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।