সিলেটশুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে আসা ১কোটি ২০লক্ষ টাকা মূল্যের চিনির চালান জব্দ করা হয়েছে।এ সময় চিনির চালানের সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।বৃহস্পতিবার(১১ই জুলাই ২০২৪ইং)গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে চিনির এ চালানটি জব্দ করা হয়।জব্দকৃত ৬টি ট্রাকে দুই সহস্রাধিক বস্তার উপরে শুল্ক ফাকি দেওয়া ভারতীয় চিনির চালান আটক করা হয়।এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার(মিডিয়া)মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জব্দকৃত চিনি বুঝাই ৬টি ট্রাকের আটকের তথ্য নিশ্চিত করেন।তবে এ বিষয়ে উপ কমিশনার(ডিবি)বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে বলেও জানান তিনি।এদিকে অভিযোগ রয়েছে-চিনিসহ ভারতীয় পণ্য চোরাচালানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতা থেকে শুরু করে যুবলীগ,ছাত্রলীগের নেতাকর্মী-এমনকি স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের নামও উঠে আসছে।সেই সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের সরাসরি মদদে সিলেট সীমান্ত দিয়ে একের পর এক ভারতীয় চিনির চালানসহ চোরাইপথে ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য ডুকছে বাংলাদেশে।কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ চিনি চোরাচালানকাণ্ডে শুধু বাহকদের গ্রেফতার করলেও মূল হোতারা রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরেই। ফলে সিলেট সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে শুল্ক ফাকি দিয়ে পণ্য প্রবেশ আরও বেড়েছে।আর চোরাকারবারিরা বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তি ও কর্মকর্তাকে'ম্যানেজ’করে দিন দিন হয়ে উঠছে অতিব বেপরোয়া।গত(৬ই জুন২০২৪ইং)এসএমপির জালালাবাদ থানা এলাকায় ১৪টি ট্রাক ভর্তি ২ হাজার ১১৪ বস্তা চোরাচালানের সবচেয়ে বড় ভারতীয় চিনির চালান জব্দ করা হয়।এ ঘটনায় তুলপাড় সৃষ্টি হয়।এ ঘটনায় ৪ জন আটক করা হলেও মূল হোতাদের কেউ এখনো ধরা পড়েনি।জব্দকৃত প্রায় পৌণে দুই কোটি টাকা মূল্যের চিনির চালানটি গত ৩ জুলাই আদালত থেকে নিলাম বিক্রি হয়।কয়েকদিন যেতে না যেতে ফের চোরাচালানের মহোৎসব শুরু হয় বলে দাবি করেন তিনি।