জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়(জাবি)’র প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছেন,এমটাই দাবী করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা,এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়(জাবি)’র ছাত্রলীগ।এ ঘটনায় অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানান কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।সোমবার(১৫ই জুলাই ২০২৪ইং)রাত আনুমানিক ৮ঘটিকার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে গেলে এ অতর্কিত হামলা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা,এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন,সন্ধ্যা সারে ৭ঘটিকার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে গেলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল এবং সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে,কোটা আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের উপর এ হামলা চালানো হয়।ছাত্রলীগের হামলায় একজন শিক্ষকসহ অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় চিকিৎসা নিতে আসা’র বিষয়ে(জাবি)’র চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা:রিজওয়ানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এখন পর্যন্ত চিকিৎসা কেন্দ্রে অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহতাবস্থায় এসেছেন।তাদের চিকিৎসা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ সোহেলের কাছে হামলার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা সন্ধ্যা সারে ৭ঘটিকার দিকে শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু হল এলাকায় গেলে উৎ পেতে থাকা ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেন।তাছাড়া তারা আগে থেকেই লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রস্তুত ছিল হামলা করার লক্ষ্যে।তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছেন বলেও দাবী করেন তিনি।যদিও তারা আগে থেকেই হামলার ব্যাপারে জানতো।এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের(জাবি)’র প্রক্টর অধ্যাপক মো: আলমগীর কবির বলেন,আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগেই শিক্ষার্থীরা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে।পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহন করবে বলে জানান তিনি।