ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(ঢাবি)এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কোটা বিরোধী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় দুপুর থেকে রাত ১০ঘটিকা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক)হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৯৭ জন শিক্ষার্থী।এদের মধ্যে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিউরোসার্জারির ৯৮ নাম্বার ওয়ার্ডের জরুরি কক্ষে চিকিৎসা নিয়েছেন আরো ১৭০ জন শিক্ষার্থী।হামলায় আহত বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের মাথায় ছিল গুরুতর আঘাতের চিহ্ন।সোমবার(১৫ই জুলাই ২০২৪ইং)ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানান,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় দুপুরের পর থেকে রাত ১০ ঘটিয়াক পর্যন্ত ২৯৭ জন হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য জুরুরী বিভাগ কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে।এদের মধ্যে চিকিৎসকদের নির্দেশনায় ১২ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে।এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক)হাসপাতাল থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন,সংঘর্ষের ঘটনায় দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত যত সংখ্যক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে,এদের মধ্যে অধিকাংশই মাথায় মারাক্তক আঘাত ছিল।এ আঘাত হতে পারে নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাত পাশাপাশি সরাসরি কোনো কিছু দিয়ে মাথায় বাড়ি দেওয়ার আঘাত।তবে ১৭০ জন হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।এছাড়াও কয়েকজনের সেলাই লাগলেও তারা গুরুতর না হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি প্রয়োজন হয় নাই।এছাড়া আরও অনেক আহতকে জরুরি বিভাগের ইমার্জেন্সি ও ৪ নাম্বার কক্ষে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।যাদের মাথায় আঘাত নেই কিন্তু শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত ছিল।এদের মধ্যেও দুই একজনের শরীরে সেলাই দেওয়া হয়েছে।এছাড়া হাসপাতালে পুরাতন ভবনের তৃতীয় তলায় নাক কান গলা বিভাগে সংঘর্ষের ঘটনায় অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছে পাশাপাশি চক্ষু বিভাগে দুই জন শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন।তাদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী হলো ঢাবির বঙ্গবন্ধু হলের আলী আকবর(২৩) বলে জানান তিনি।এদিকে হাসপাতালে অপর এক সূত্র থেকে জানা যায়,সংঘর্ষের ঘটনার পরপরই দলবদ্ধভাবে হেলমেট মাথায় পড়া অবস্থায় হাতে লাঠি রড নিয়ে অনেক যুবক জরুরি বিভাগ চত্বরে অবস্থান করে।তারা সেখান থেকে ২-৩ বার জরুরি বিভাগের মূল ভবনে চিকিৎসা কেন্দ্রের সামনে প্রবেশ করেন আহত চিকিৎসা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের উপর পুনরায় হামিলা চালানোর উদ্দেশ্যে।সেই সময় সেই যুবকরা ধর ধর বলে চিৎকার করে দৌড়াতে থাকে।একপর্যায়ে ইট পাটকেল ছুরাছুরী সময় হাসপাতাল চত্বরে পার্কিং করা একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।