সারাদেশে কোটা সংস্কারের দাবীতে শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।মঙ্গলবার(১৬ই জুলাই ২০২৪ইং)দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন,নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার জন্য দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ পরিবার।প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন,সেটাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।আদালতের রায় বল প্রয়োগের মাধ্যমে পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে।এর পেছনে একটি কুচক্র মহল জড়িয়ে পরেছে।এদিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি।আন্দোলনেও তারা ব্যর্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন,আমরা আগেও দেখেছি ২০১৮ইং সালে সড়ক আন্দোলনের ওপর ভর করে তারা আন্দোলনের ফসল কুড়াতে চেয়েছিল।তারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে,কত মানুষ যে মারা গেছে।বিশেষ করে সাধারণ নিরীহ মানুষ’কে টার্গেট করে হত্যা করেছে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদের আরো বলেন,আমরা এখনো বলছি আজ যে কোটা সংস্কার আন্দোলন বাংলাদেশে চলছে,এই আন্দোলনেরও নেতৃত্ব নিয়েছেন সেই লন্ডনের দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।তার দল সমর্থন দিয়েছে প্রকাশ্যে।দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী তারেক রহমান প্রতিনিয়ত ২০১৫ইং,১৬ইং,১৮ইং সালের মতো এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন অপশক্তিকে লেলিয়ে দিয়েছে।তাদের সমমনা কিছু দলও এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে মন্তব্য প্রকাশ করেন।
তবে যেসব পত্র-পত্রিকায় যা দেখতে পেলাম তাতে ছাত্রলীগকে দোষ দেওয়া যেন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের,এছাড়া সব দোষই যেন নন্দ ঘোষ ছাত্রলীগের।অথচ এই হামলায় ৫০০ জন আহত হয়েছে।এর মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতা আছে ২০ জন।দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।তিনি আরো বলেন,লন্ডনে পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী তারেক রহমান আর রাজনীতি করবেন না বলে লন্ডনে পাড়ি দিয়েছিলেন,পরে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে যে মামলা হয় সেখানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফবিআই এসেও সাক্ষ্য দিয়ে গেছে।সেই সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান,তার দল হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়নি।আন্দোলন করতে গিয়ে বারবার ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে,এবারো ঠিক তা-ই হবে বলে মন্তব্য প্রকাশ করেন দলটি সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদের সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।