সাভার প্রতিনিধি:
সাভারে ভুয়া রশিদ দিয়ে পৌরসভার টোলের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা হেলাল ওরফে মুরগি হেলালের বিরুদ্ধে।তার এ চাঁদাবাজির সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইমান্দিপুর এলাকার কথিত যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম রাজা ও সুমন।ঢাকা-১৯ আসন সাভার-আশুলিয়া সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম নির্বাচনের পরই তার এলাকায় সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধের ঘোষণা দেন।কিন্তু তাতেও চাঁদাবাজি বন্ধ হচ্ছে না।কোনো ধরনের অনুমতি ও ইজারা না থাকার পরও পৌরসভা কর্তৃক ইজারাপ্রাপ্তির রসিদ ছাপিয়ে পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক থেকে যানবাহন থেকে চাঁদা তুলছে চক্রটি।জানাযায়,হেলাল দীর্ঘ দিন যাবৎ বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদলের রাজনিতীর সাথে জড়িত।তিনি মজিদপুর এলাকার মৃত যুবদল নেতা আওলাদ হোসেনের বোন জামাই। হেলাল তার হাত ধরে সাভার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিল খোরশেদ আলমের সাথে রাজনীতি করেন।বিএনপির মিছিল মিটিংয়ে এখনো গোপনে লোকজন নিয়ে হাজির হন তিনি।খোঁজ নিয়ে জানাযায়,সাভার পৌরসভার পণ্য ওঠানামা কুলি বিট ইজারার নামে হেলাল তার কিশোর গ্যাং সদস্যদের দিয়ে পৌরসভার শাহিবাগ চৌরাস্তায় চলাচলকারী পণ্যবাহী ছোট-বড় ট্রাক,পিকআপ,কর্ভাড ভ্যান থেকে কুলি বিট ইজারার টোল আদায়ের নামে এসব চাঁদা আদায় করছে।পৌরসভা থেকে কোন ধরণের যানবাহনের ওপর টোল আদায়ের জন্য ইজারা প্রদান না করলেও প্রকাশ্যে ভুয়া ইজারাদার সেজে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে লাখ লাখ টাকা লুটে নিচ্ছে এ চক্র মুলহোতা মুরগী হেলাল।দিনের পর দিন প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটলেও তা বন্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।তবে এই চক্রটি শুধু যানবাহনে চাঁদাবাজি করে সন্তুষ্ট নয়।তাদের বিরুদ্ধে প্রতিটি শাখা সড়কে ভাসমান দোকান থেকেও প্রতিদিন চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।চলন্ত যানবাহন থামিয়ে চাঁদাবাজি করায় বিরুলিয়া সড়কের শাহীবাগ চৌরাস্তায় নিত্যদিনই যানজট লেগে থাকে।এতে যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।ফলে ভুক্তভোগী যানবাহন চালক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।সেই সাথে বিরুলিয়া রোডের দুইপাশে শতাধিক ভাসমান দোকান থেকে প্রতিদিন চাঁদাবাজি হয় তার নেতৃত্বে।সরেজমিনে,সাভার বাসস্ট্যান্ডের বিরুলিয়া সড়কে গিয়ে দেখা যায় শাহীবাগ চৌরাস্তা পর্যন্ত শতাধিক ভাসমান দোকান রয়েছে।ওইসব দোকানের ধরণ ও আকার ভেদে প্রতিদিন ৫০-৩০০ টাকা করে চাঁদা করা হয় বলে জানাগেছে।এছাড়াও নতুন করে ওই সড়কে দোকান বসাতে গেলে মুরগি হেলালকে এককালিন অগ্রিম বাবদ মোটা অংকের টাকা দিতে হয় বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।তবে কয়েকজন ভাসমান ব্যবসায়ী বলেন নতুন এমপি নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পর চাঁদাবাজির অভিযোগে আব্দুর রাজ্জাকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর বেশ কিছুদিন চাঁদা আদায় বন্ধ ছিলো।কিন্তু নতুন করে আবার হেলাল তার লোকজন দিয়ে চাঁদা আদায় করছে।স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ বলছেন,সংসদ সদস্য চাঁদাবাজি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় তারা অনেক খুশি হয়েছিলেন।কিন্তু এটার বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা হতাশ।চাঁদাবাজি বন্ধে সাংসদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাভার পৌরবাসি।এবিষয়ে অভিযুক্ত হেলাল সাংবাদিকদের বলেন,কুলি বিটের ইজারাদার সোনালি বেগমের স্বামী কুদ্দুস আমাকে বিরুলিয়া রোডের দায়িত্ব দিয়েছে।তার নির্দেশে আমার পোলাপান টোল আদায় করছে।সাভার পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুল গণি এসব চাঁদাবাজদেরকে চাঁদা না দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে বলেন।