বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ ঘটিকার দিকে পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের সামনেই মহড়া দেয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা।একি সময় বৃহস্পতিবার(১৮ই জুলাই ২০২৪ইং)বেলা সাড়ে ১১ঘটিকার দিকে পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ত্রিমুখী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবী,পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালান।পাল্টা হামলা চালিয়ে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।তবে এ সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্য,২ সংবাদকর্মীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।এ ছাড়া ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় লেকের পানিতে পরে একজনের মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার(১৮ই জুলাই ২০২৪ইং)বেলা সারে ১১ঘটিকার দিকে শেখ হাসিনা মহাসড়কের ডিসি ব্রিজ এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে।পরে শকুনি লেকপাড় এলাকা,পুলিশ সুপারের বাসভবন,জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনেও দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে।দুপুর ১ ঘটিকার পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।সংঘর্ষ চলায় মাদারীপুর-শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কপথে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকতে দেখা যায়।এই হামলার পর পর পালাতে গিয়ে ঘটনাস্থলে শকুনি লেকে পড়ে তিনজন নিখোঁজ হন।এদের মধ্যে আজ দুপুর ১ঘটিয়াকার সময় পর্যন্ত দুজনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।এদিকে মাদারীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)এএইচএম সালাউদ্দিনের কাছে ঘটনার বিবরণের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন,আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ বাধে পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে,তাছাড়া এ সংঘর্ষে সময় তিনজন শুকুনি লেকের পানিতে পরে যায় এতে একজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়,বাকি দুজনকে খোজা হচ্ছে বলে জানান তিনি।এদিকে পুলিশ,প্রত্যক্ষদর্শী,আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তথ্যসূত্রে জানা যায়,সকাল সারে ১০ঘটিকার সময়ের দিকে মাদারীপুর সরকারি কলেজ,চরমুগরিয়া কলেজ,ইউনাইটেড সরকারি উচ্চবিদ্যালয়,ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা ইউআই স্কুল মাঠে জড়ো হন।সকাল ১১ঘটিকার দিকে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শেখ হাসিনা মহাসড়কের ডিসি ব্রিজ এলাকায় জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করেন।বেলা সারে ১১ঘটিকার দিকে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ।অন্যদিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা–কর্মীরাও তাঁদের লক্ষ্য করে হামলা চালান।এতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশ,ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।ডিসি ব্রিজ থেকে পুরোনো কোর্ট পর্যন্ত টানা এক ঘণ্টা চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া।এ সময় পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে থাকা পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।পরে পুলিশ ৪০টি রাবার বুলেট,কাঁদানে গ্যাসে ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।এতে পুলিশের অন্তত ১০ জন সদস্য ও ২ জন সাংবাদিকসহ আহত হন অন্তত ৩০ জন।এ হামলায় আহতদের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।