শেরপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী,ছাত্রলীগ ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।বুধবার(১৭ই জুলাই ২০২৪ইং)বিকেল ৩ ঘটিকার সময় থেকে সন্ধ্যা সারে ৭ ঘটিকা পর্যন্ত শহরের নিউমার্কেট মোড়,থানা মোড় ও চকবাজারে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এতে পুলিশ,সাংবাদিক ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।আহতদের মধ্যে কয়েকজন পুলিশ সদস্য,দৈনিক গণমুক্তির জেলা প্রতিনিধি জাহিদ হাসান খোকন,আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী জান্নাতুল মিম,সুজন,রিয়া,তালহাজ ও শরিফসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগ নেতা তাশদীদুর রহমান,মাসুদ রানা ও জসিমসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন রয়েছেন।এর আগে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিকেল ৩ ঘটিকায় শেরপুর সরকারি কলেজে অবস্থান নেয়।সেখান থেকে মিছিল শুরু করে শহরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণের সময় ছাত্রলীগ বাঁধা দেয়।পরে আন্দোলনকারীরা শহরের থানা মোড়ে,ছাত্রলীগ নিউমার্কেট মোড়ে এবং পুলিশ তাদের মাঝামাঝি অবস্থান নেয়। এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।এতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপে এক সাংবাদিক ও পুলিশসহ দুই গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয়।বন্ধ হয়ে যায় শহরের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেন।একটু পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পুনরায় থানা মোড়ে অবস্থান নেয়।ডিবি পুলিশের ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে এবং রাস্তায় আগুন জালিয়ে অবরোধ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।এ সময় আবারও শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ।এভাবে সন্ধ্যা সারে ৭ ঘয়াটিয়া সময় পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে।বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত হলেও শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) সাইদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।এরমধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানান তিনি।