সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন,মারধর,ডিশ ব্যবসা দখল,বাড়ি,ফ্ল্যাট,প্লট ও জমি দখল,তাছাড়া জাল দলিল করে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ,চাঁদাবাজি,লুটপাট,পদ বাণিজ্য,অস্ত্রবাজিসহ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রায় ৫-৭ বছরে শতকোটি টাকার অর্জনের তথ্য দিয়ে একটি জাতীয় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।পরে গত ২২শে এপ্রিল এ অনুসন্ধানী প্রকাশিত সংবাদ আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেন।এ অনুসন্ধান রিপোর্টে বলা হয়,সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শতকোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।তাছাড়া সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজিব ও অন্যান্যদের সহযোগীতায় চাঁদাবাজি,টেন্ডারবাজি,মাদক ব্যবসার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে আতিকের বক্তব্য শোনা এবং গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন মর্মে তাকে দুদকে তলব করা হয়,গত ১৫ই মে সকাল ১০ঘটিকার দিকে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-২ এ হাজির হয়ে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়।নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হতে না পারলে অভিযোগের বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই বলে গণ্য হবে। দুদক ইতোমধ্যে আতিকের সকল জমি,ফ্ল্যাট,প্লট,বাড়ি,দোকান ইত্যাদি আছে কি না জানতে চেয়ে একটি স্বারক লিপি দিয়েছেন।এদিকে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমানের বিষয়ে জানতে চাইলে,সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-২ দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক(অনু: ও তদন্ত-১)মোঃ রুহুল হক জানান,জাতীয় দৈনিক মানবজমিনের সাভার ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন,মারধর,ডিশ ব্যবসা,বাড়ি,ফ্ল্যাট,প্লট,জমি দখল,জাল দলিল করে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ,চাঁদাবাজি,লুটপাট,পদ বাণিজ্য,অস্ত্রবাজিসহ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রায় ৭ বছরে শতকোটি টাকার অর্জনের একটি অনুসন্ধানি প্রতিবেদন দেখে দুর্নীতি দমন কমিশন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তার(আতিক)’এর ব্যাপারে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে।পরবর্তীতে তার(আতিক)সম্পদের হিসাব,স্ত্রী-সন্তানসহ সকল বিষয়ে জানতে চেয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়।কিন্তু তিনি নির্ধারিত সময়ে দুদুকের কার্যলয়ে উপস্থিত না হওয়ায়,পরে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সহযোগীতায় তাকে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।এছাড়া বর্তমানে তার বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।