জামালপুরে শিক্ষার্থীদের একদফা আন্দোলন দমাতে দুই ছাত্রলীগ নেতা প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেছেন।অস্ত্র হাতে ধাওয়া করা দুই যুবকের ছবিও যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।শনিবার(৩ই আগস্ট ২০২৪ইং)বিকেলে জামালপুর শহরের হাইস্কুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।ওই দুই নেতার নাম শাহরিয়া ইসলাম রাফি ও নাফিজুর রহমান তুষার।এর মধ্যে রাফি জামালপুরের সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক,অন্যজন তুষার ছাত্রলীগের কর্মী।বিকেল সারে ৩ ঘটিকার দিকে শহরের নতুন হাইস্কুল এলাকায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তখন আওয়ামী লীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশিও অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের’কে ধাওয়া করেন।এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আবারও কলেজের দিকে চলে যাচ্ছিলেন।এ সময় ওই দুই যুবককে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করতে দেখা যায়।এর আগে জামালপুর শহরের বাইপাস এলাকা থেকে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করতে করতে মির্জা আজম চত্বরে এসে পুলিশি বাধা পায়।এর দুই ঘণ্টা পর ছাত্ররা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে আশেক মাহমুদ কলেজে যায় সেখান থেকে বকুলতলা এলাকায় যাওয়ার পথে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের’কে ধাওয়া করতে দেখা যায়।তবে এ বিষয়ে জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ খাবীরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমাদের ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীর হাতে অস্ত্র ছিল না।এসব ছবি এডিট করা হয়েছে।তাছাড়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রথমে আমাদের ওপর হামলা করেছে।তবে রাফি আমার সঙ্গে ছিল।তার কাছে কোনো অস্ত্রও ছিল না।যে ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।তারা আমাদের কেউ না।ওদের সঙ্গে আমাদের নেতাকর্মীর চেহারার কোনো মিল নেই।এদিকে ছাত্রলীগের হাতে অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের’কে ধাওয়ার বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মুহাম্মদ মহব্বত কবীর’কে কাছে জানতে থানায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি এমনকি তাকে দুই থেকে তিনবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।তবে অন্য সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন,‘ওই সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। অস্ত্রধারী কেউ ছিল কি না-সেটা নিশ্চিত বলতে পারবো না।যদি কারো হাতে অস্ত্র থাকে,তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে,আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।