সাভার থানা সাস্থ কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে অসংখ্য আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী গুলিবৃদ্ধ অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ইতিমধ্যে সুনাম অর্জন করেছেন,দেশে যখন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করেছে।একের পর আন্দলোনকারী শিক্ষার্থী মাঠে কোটা সংস্কার দাবী নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেছিলেন ঠিক তখন হায়নার বাহিনী আওয়ামী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ও পুলিশলীগের মাধ্যমে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে,এমনকি সাধারণ চলাচলরত মানুষও রক্ষা পায়নি এই হায়না বাহিনীর কাছে,এদিকে সাভারের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া গুলিবিদ্ধ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিতে বেসরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি সাভার থানা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা ও নির্ঘুম অক্লান্ত পরিশ্রম করে রোগীর স্বজনদের মুখে মুখে প্রসংশা অর্জন করেছে।গত ৫ই আগস্ট রবিবার সারাদেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে যখন বিজয়ের স্লোগান নিয়ে রাজপথে মিছিল নিয়ে বের হয়,তেমনিভাবে ঢাকার অদুরেই সাভারেও এই বিজয়ের আন্দন মিছিল নিয়ে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে থানা বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি বেলা আনুমানিক ৫ ঘটিকার দিকে পৌছালে উৎ পেতে থাকা পুলিশ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা বিজয়ে মিছিলে শিক্ষার্থীদের লক্ষ করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুরতে থাকে,এঘটনায় পুলিশ, শিক্ষার্থী,পথচারী ও শিশুসহ অর্ধশতাধিক গুলিবিদ্ধ হয়,এসময় বেসরকারি হাসপাতালে পাশাপাশি সাভার থানা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়তে থাকে আহত রোগীর ভিড়।তবে সরেজমিনে খোজ খবর নিয়ে দেখা যায় গত রবিবার সারাদেশে সাধারণ ছুটি থাকা অবস্থায়ও চিকিৎসা সেবায় নিজেদের’কে নিয়োজিত রেখেছেন উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক যোদ্ধারা,এদিকে গুলিবিদ্ধ এক রোগীর স্বজন আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন,কখনও ভাবিনি উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে এতো উন্নত সেবা দিবে,সন্তান’কে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনার সাথে সাথে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সঠিক চিকিৎসাসেবা দিয়েছে,তবে আমার দীর্ঘ বিশ্বাস,
সারাদেশে উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরো উন্নত মানের চিকিৎসা সেবা প্রধানের সরঞ্জাম থাকলে কোথাও বেগ পহাতে হবেনা বলে মন্তব্য প্রকাশ করেন তিনি।এবিষয়ে সাভার থানা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: কামরুন নাহারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন গত রবিবার ৫ই আগস্ট হইতে এ পযন্ত অগুনতি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন,আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে,তাছাড়া একের পর এক এভাবেই গুলিবিদ্ধ,ছুরিকাঘাতসহ রোগীর ভির চলমান ছিলো,আমরা যতটুকু সম্ভব আমাদের উপস্থিত কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের যথারীতি চিকিৎসা প্রধান করে আসছি,সাভার থানা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: কামরুন নাহার আরো বলেন,আহত শিক্ষার্থীরা ও সাধারণ মানুষ যখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বিভিন্ন হাসপাতালে উন্নতি চিকিৎসার লক্ষ্যে আমাদের হাসপাতালের হুইলচেয়ার,স্ট্রেচার দিয়ে পাঠানো হয়েছে এমনকি সরকারি রোগী আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি এম্বুলেন্স ব্যাবহার করা হয়েছে বিনামূল্যে বলে জানান তিনি।এবিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ (ইউএইচ,এন্ড,এফ,পিও)ডা: সাইমুল হুদার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,হাসপাতালে আসা অসংখ্য গুলিবিদ্ধ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসা আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাধারণ খেটে খাওয়া আহত রোগীও দেখা গিয়েছে,তবে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বিভিন্ন হাসপাতালে উন্নতি চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে পাঠানো হয়,সাভার থানা সাস্থ্য কমপ্লেক্স সাধারন ছুটি থাকা সর্থেও কেওই বাসায় বসে না থেকে,হাসপাতালে জরুরী চিকিৎসা সেবা দিতে রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম যাচ্ছে,তাছাড়া বিগত দু’দিনে অসংখ্য গুলিবিদ্ধ রোগী চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।